ইসলাম ও মুসলমানের জন্য চীনই হচ্ছে আদর্শ। জঙ্গিবাদ কেমন করে মোকাবিলা করতে হবে সেটা আপাতত চীনের পদক্ষেপগুলিই অনুকরণীয়। উইঘুর মুসলমানদের প্রতি নির্যাতনই এখন বিশ্ব দেখছে, কারণ চীন শ্রীলংকার মত ঘটনা ঘটানোর আগেই লাগাম টেনে ধরেছে। আইএস আর ওয়াজ মাহফিলের বক্তাদের মাঝে আদর্শিক কোন তফাত নেই। সুন্নিদের হাদিস কুরআন সারা পৃথিবীতেই এক রকম। ভারতীয় মোল্লারা তাদের ওয়াজে প্রকাশ্যে ৪টা করে বিয়ে আর ৪০টা করে সন্তান পয়দা করে ভারতকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বানানোর জন্য মুসলমানদের উপদেশ দেয়। মোল্লারা এটা নিজেরা বানিয়ে বানিয়ে বলে না। হাদিসে আছে মুহাম্মদ তার সঙ্গীদের অধিক সন্তান জন্মের জন্য উপদেশ দিচ্ছেন কারণ তিনি সংখ্যা দিয়ে অন্যদের পরাজিত করবেন। আপনি দেখান পৃথিবীতে আর একটি ধর্ম অন্য ধর্মকে আঘাত করছে। বিধর্মীদের গির্জা, মন্দির, প্যাগোডা ছাড়াও ভিন্নমতালম্বী মুসলিমদের মসজিদ, মাজারে হামলা চালাচ্ছে ইসলাম আর মুসলমানরাই।
ইসলাম ধর্মটাই নিষিদ্ধ করতে হবে। নতুন করে আর কোন মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণের অনুমতি দেয়া চলবে না। ইসলামিক নামের কোন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। চীন উইঘুর মুসলিমদের অধিক সন্তান গ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শ্রীলংকা বোরখা নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে যারা আগুন ধরিয়ে হত্যা করেছে তারাও নিজেদের পরিচয় লুকাতে বোরখা পরেছিলো। বোরখা নেকাব নিরাপত্তার জন্য হুমকি। জাতিসংঘের উচিত ‘হিজাব দিবস’ অবিলম্বে বাতিল করা। সারা পৃথিবীতে এক সময় চীনের মত ইসলামের বিরুদ্ধে এ্যাকাশ নিতে বাধ্য হবে। তখন একজন মানুষও পাওয়া যাবে না এগুলোকে ‘ইসলামোফোবিয়া’ বলার মত। মানুষের সহ্যের একটা সীমা আছে। ল্যাটিন আমেরিকাতেও জিহাদ ছড়িয়ে পড়ার খবর এসেছে। ব্রাজিলের রাস্তায় ক্যাম্প করে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হচ্ছে। এই দাওয়াতি কার্যক্রম শুরুতে শান্তিপূর্ণভাবে ঘটবে তারপর সংখ্যায় মুটামুটি হতে পারলেই সশস্ত্র জিহাদের মহড়া শুরু হবে যাবে…।
আইএস বাংলাদেশের আক্রমন ঘটানোর ঘোষণা দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ আইএস সমর্থক আমরা অনলাইনে দেখি যারা নিউজ সাইটগুলোর ফেইসবুক পেইজে কমেন্ট করে থাকে। কেবল এরাই নয়, আইএস আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে আইএসে বামপন্থিরাও যোগ দিতে পারে! বামপন্থিদের কাছে প্রশ্ন করেছি নানা সময়ে, তারা ইসলামকে বর্তমান সময়ে সমস্যা মনে করে কিনা। তারা স্পষ্ট জবাব দিয়েছে, না, ইসলাম কোন সমস্যাই না…। লিবারাল ও কমিউনিস্টরা তাই দ্রুত গণমানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সারা পৃথিবীর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি একটি ধর্মীয় বিশ্বাস দ্বারা আক্রান্ত হতে থাকে আর সে বিষয়ে আপনি উদাসিন থাকেন আপনার প্রতি মানুষের ক্রোধই বাড়বে। তাই দেশে দেশে ডানপন্থিদের বিজয় আমরা দেখ পাই।
কেপলার বি-২২ হচ্ছে পৃথিবীর মত মানুষ্য বসতির সবচেয়ে উপযোগী গ্রহ। এই গ্রহে মানুষের অভিবাস শুরু হলে সব জাতি সম্প্রদায়কেই নেয়া হবে। পিছু পিছু ধর্মও ছুটবে। গির্জা বানানো হবে সেখানে। মন্দির, মঠ…। খ্রিস্টান মিশনারীরা মানুষকে ধরে ধর্মপোদেশ দিবে- প্রভু যীশু কত কৃপা করে মানব জাতিকে নতুন গ্রহ দিয়েছে তাই আসুন আমরা প্রভুর প্রার্থনা করি-। মন্দিরে ঢাক বাজবে। কুসংস্কার অন্ধবিশ্বাসও গ্রনান্তরিত হয়ে নতুন মানব বসতিতে স্থান করে নিবে। সঙ্গে যোগ হবে মসজিদ মাদ্রাসা…। হঠাৎ শুনবেন বুম করে বোমা ফাটছে! আল্লাহো আকবর করে জিহাদের ডামাডোল বেজে উঠছে। কারণ নতুন গ্রহের মালিকানা মুসলমানদের। কাফেররা এখানে বসবাস করতে পারলেও ক্ষমতা থাকবে মুসলমানদের হাতে। এই ক্ষমতা হাতে না আসা পর্যন্ত জিহাদ চলবেই…।
যারা ইসলামোফোবিয়া ইসলাম বিদ্বেষ বলে দিনরাত ইসলাম বিরোধীদের সমালোচনা করেন তারা কিন্তু জিহাদের কোন সমাধান দিতে পারেন না। আমেরিকা তার সাম্রাজ্যবাদ গুটিয়ে নিজে দেশে ফিরে গেলে কি জিহাদ থেমে যাবে? তখন কি কুরআন হাদিস মাদ্রাসা মসজিদে পড়ানো হবে না? ফিলিস্তিন থেকে ইজরাইল তাদের রাষ্ট্র তুলে দিয়ে ইউরোপে ফিরে গেলে কি হামাস তার জিহাদী কার্যক্রম বন্ধ করে দিবে? বাংলাদেশের মত সংবিধানে বিসমিল্লাহ আর রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে কি আনসারুল্লাহ জেএমবি তাদের কার্যক্রম ছেড়ে দিবে? ভারত যদি কাস্মিরকে ছেড়েও দেয় জইশ-ই মুহাম্মদ বা লস্কর-ই তৈয়াবা কি তাদের জিহাদ ছেড়ে দিবে? বুখারী মুসলিম তিরমিজি হাদিস আর শত শত তাফসির বই, সঙ্গে কুরআনের আয়াত যা জিহাদ চালাতে কিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের বলা হয়েছে- সেই ধর্মীয় আদর্শ থেকে মুসলমানদের ফেরাবে কে?