ইসলাম হচ্ছে মানুষকে বেসামাল বানানোর মেশিনের নাম। এই মেশিন যাকে ছোঁবে সে সারাক্ষণ খাই খাই করবে, আবার সে নিজেই খাদ্যকে ঢেকেও রাখতে চাইবে! কারণ, খাবার গ্রহণের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সে সামলে রাখতে পারে না। তাদের গুরু মোহাম্মদও নিজেকে সামলে রাখতে পারতো না।
মোহাম্মদের দৃষ্টিতে যেহেতু নারী পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার (সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্ম্বর ৩৫৩৫) সেহেতু এটিকে বোরকা পরিয়ে রাখতে হয় সবসময়। নয়তো নিজেকে সামলানো অসম্ভব হয়ে যায়! আর রোজার মাসে খাবার দেখলে অধৈর্য্য মুমিনরা জিভ সামলাতে পারে না, তাই এ মাসে মুমিনদের ভয়ে রেস্টুরেন্টকেও বোরকা পরাতে ভয়! বোরকা ছাড়া আয়েশাকে দেখে ইসলাম নামক ধৈর্যচ্যুতি মেশিনের আবিষ্কারক নিজের উপর কন্ট্রোল রাখতে পারেননি, তাই তাকে স্বপ্নে দেখে ফেললেন (সহীহ আল বুখারি, ৩৬০৬ নং হাদিস দ্রষ্টব্য।) আফসোস হয় এই ভেবে যে, দুনিয়ার সব খাবারই মুমিনের ভয়ে কেবল একমাস দিনের বেলায় বোরকা পরে থাকলেও নারীকে বোরকা পরে থাকতে হয় সারাজীবন! অর্থাৎ জড়পদার্থ খাবারের চেয়েও বেশি পরাধীন হচ্ছে ইসলামের নারী।
গুরুজী পুত্রবধূ জয়নবকে স্বল্পবসনা দেখে তিনি নিজেকে সামলাতে পারেননি (তাবারি ২২/১২, তাফসীর আল কাবীর ১৩/১৮৪, যামাখশারী ০৩/২৬২,) তাই বহু কষ্টে মনষ্কামনা চেপে রাখতে চেয়েও শেষাবধি আর পারলেননা (কোরআন ৩৩/৩৭ !) অগত্যা ছেলের পুত্রত্ব অস্বীকার করেই তার বৌকে নিকাহ করলেন (কোরআন ৩৩/০৪-০৫-০৬) এবং ছেলের সাবেক বৌকে ছেলের মা বানিয়ে দিলেন!
মিসরের অমুসলিম শাসক মুকাওকিসের থেকে উপঢৌকন হিসেবে প্রাপ্ত দাসী মারিয়াকে দেখেও তিনি ঠিক থাকতে পারেননি, তাই সূরা তাহরীম নাজিল করতে হয়েছিল (সূরা আত তাহরীম, তাফসীরে কুরতুবী ও ইবনে কাছীর দেখুন।
বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়! মুমিন তোমার চরিত্র কি, নবীতে পরিচয়!