- নাগার্জুন (আনুমানিক ১৫০-২৫০ খ্রি:) গৌতম বু্দ্ধের পরবর্তী সর্বাধিক প্রভাবশালী বৌদ্ধ দার্শনিকদের অন্যতম।[১]
তাঁর শিষ্য আর্যদেবের সাথে তাঁকে ‘মহাযান’ বৌদ্ধধর্মের ‘মাধ্যমিক’ শাখার
প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কৃতিত্ব দেয়া হয়। তাঁকে ‘প্রজ্ঞা পারমিতা সুত্র’
সম্পর্কিত দর্শনের উন্নয়নের কৃতিত্ব দেয়া হয় এবং কোন কোন মতানুসারে এই
সম্পর্কিত পুঁথিগুলো নাগ (সাপ/ড্রাগন)দের থেকে উদ্ধার করে, বিশ্বে প্রকাশ
করেছেন। ধারনা করা হয় তিনি চিকিৎসা রসায়ন শাস্ত্রের উপর কয়েকটি রচনা
করেছেন এবং নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।ইতিহাস
নাগার্জুনের জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়, কারন তার ব্যাপারে
বর্তমানে যা কিছু পাওয়া গেছে তা নাগার্জুনের মৃত্যুর শত শত বছর পর চীনা
এবং তিব্বতী ভাষায় লিখিত। কিছু সূত্র মতে, নাগার্জুন দক্ষিণ ভারতীয়।[২][৩] কিছু পন্ডিতের মতে, নাগার্জুন সাতবাহন রাজবংশের এক রাজার উপদেষ্টা ছিলেন।[২] অমরাবতীতে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হতে ধারণা করা হয়, এই তথ্য সত্য হলে সেই রাজা ছিলেন Yajna Sri Satakarni [২] যিনি ১৬৭ খ্রি: হতে ১৯৬ খ্রি: পর্যন্ত রাজত্ব করেন। এই তথ্য হতে নাগার্জুনের জীবনকে ১৫০ খ্রি: হতে ২৫০ খ্রি: এর মধ্যে ফেলা যায়।চতুর্থ/পঞ্চম শতাব্দীতে কুমারজীব অনুদিত জীবনি অনুসারে নাগার্জুনের জন্ম ব্রাহ্মন পরিবারে[৪] । নাগার্জুন পরবর্তিতে বৌদ্ধ ধর্মে দিক্ষিত হন।
কিছু সূত্র মতে নাগার্জুন তার জীবনের শেষ দিকে শ্রীপর্বতের পাহাড়ে
বসবাস করতেন, যার নিকটবর্তি শহর পরবর্তিতে নাগার্জুনকোন্ডা (নাগার্জুনের
পাহাড়) নামে পরিচিত হয়। নাগার্জুনকোন্ডা বর্তমান ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের
নালগোন্ডা/গুন্টুর জেলার কাছাকাছি অবস্থিত।রচনা
বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রচনার কৃতিত্ব নাগার্জুনকে দেয়া হয়, যদিও ধারণা করা হয় যে, কিছু রচনা তার নামে চালানো হয়েছে।
তথ্যসূত্র
- Garfield, Jay L. (1995), The Fundamental Wisdom of the Middle Way, Oxford: Oxford University Press
- Kalupahana, David. A History of Buddhist Philosophy. 1992. p. 160
- Buddhist Art & Antiquities of Himachal Pradesh By Omacanda Hāṇḍā (Page 97)
Notes on the
Nagarjunikonda Inscriptions, Dutt, Nalinaksha. The Indian Historical
Quarterly 7:3 1931.09 pp.633-653 “..Tibetan tradition which says that
Nagarjuna was born of a brahmin family of Vidarbha.”