বাংলায় ও আসামে লাখ লাখ মানুষ যে কালব্যাধি কালাজ্বরের ছোবলে প্রাণ হারাতো
সেই মারাত্মক কালাজ্বরের একমাত্র ওষুধ ছিলো ব্রহ্মচারী ইনজেকশন বা ইউরিয়া
ষ্টিবামিন। এইট আবিষ্কার করেছিলেন উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী ওরফে ইউ.এন.
ব্রহ্মচারী।
উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুরে ১৮৭৫ সালের ৭
জুন জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং পরীক্ষায়
ভাল ফল করতে থাকেন। এ জন্যে পড়ার সময় নানা পদক ও বৃত্তি লাভ করেন। হুগলী
কলেজ থেকে তিনি অঙ্কশাস্ত্রে অনার্স নিয়ে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান দখল করে
øাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রেপর যুগপৎ চিকিৎসাশাস্ত্র ও রসায়নশাস্ত্র
নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। প্রথমে এম.বি পাশ করেন এবং মেডিসিন ও শল্যবিদ্যায়
প্রথম স্থান অর্জন করেন। তাঁকে এজন্যে সম্মান জানানো হয় গুডফি ও ম্যাকলিয়ড
পদক দিয়ে। ১৯০২ সালে তিনি এম.ডি ও ১৯০৪ সালে ীপজিওলজিতে পি.এইচ.ডি উপাধি
পান। এছাড়াও তিনি ‘ফোটস মেডেল’, ‘গ্রিফিথ প্রাইজ’, ‘মিন্টো মেডেল’সহ
চিকিৎসাবিজ্ঞানে অনেক পদক ও পুরস্কার লাভ করেন।
ঢাকা মেডিক্যাল স্কুলে তাঁর চাকুরী জীবনের শুরু। এরপর কলকাতা
ক্যাম্বেল মেডিক্যাল স্কুল। ক্যামেবল মেডিক্যাল স্কুলের বর্তমান নাম
‘নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ’। ক্যাম্বেল স্কুলেই তিনি কালাজ্বর বিষয়ে
অধিকাংশ গবেষণা করেন। পূর্বে কালাজ্বরের চিকিৎসা হতো এন্টিমনি ব্যবহার
করে। সে চিকিৎসা ছিলো কষ্টকর ও বেদনাদায়ক। এতে আরোগ্য হতে সময়ও লাগতো
প্রচুর। রোগীদের অনেকেই মারা পড়তো। উপেন্দ্রনাথ গবেষণার মাধ্যমে ‘ইউরিয়া
ষ্টিবামিন ইনজেকশ’ আবিষ্কার করেন ১৯২৩ সালে। বেদনাহীন এই ইনজেকশন
কালাজ্বরের একমাত্র সফল প্রতিষেধক ও আরোগ্যদায়ক ওষুধ হিসেবে দেশ-বিদেশে
পরিচিতি লাভ করে। আসামে ১৯২৩ ও ১৯২৮ সালে ব্যাপকভাবে কালাজ্বরের
প্রাদুর্ভাব ঘটে। তখন ভরসা কেবল ব্রহ্মচারীর ইনজেকশন। এক হিসেবে জানা যায়,
১৯৩৩ সাল পর্যন্ত এই ওষুধ ৩,২৫০০ জীবন রক্ষা করেছে। এই ওষুধ গ্রীস, ফ্রান্স
ও চীনে ব্যবহৃত হয়। এই বাঙালি মনীষী বিশ্ববিজ্ঞানী মহলের প্রশংসা ও দৃষ্টি
আকর্ষণে সক্ষম হন। অ ঞৎবধঃরংব ড়হ কধষধুধৎ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ। জার্মান
চিকিৎসাবিদ ডাঃ কার্লমেনস রচিত চিকিৎসাবিজ্ঞান গ্রন্থের কালাজ্বর অধ্যায়
উপেন্দ্রনাথেরই প্রণীত।
তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি
ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। তিনি রয়্যাল সোসাইটির
সদস্য পদ লাভ করেন। ডাঃ ব্রহ্মচারী পৃথিবীর দ্বিতীয় ও ভারতের প্রথম ব্লাড
ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৪৬ সালে এই বিজ্ঞান সাধকের প্রয়াণ ঘটে।
সেই মারাত্মক কালাজ্বরের একমাত্র ওষুধ ছিলো ব্রহ্মচারী ইনজেকশন বা ইউরিয়া
ষ্টিবামিন। এইট আবিষ্কার করেছিলেন উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী ওরফে ইউ.এন.
ব্রহ্মচারী।
উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুরে ১৮৭৫ সালের ৭
জুন জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং পরীক্ষায়
ভাল ফল করতে থাকেন। এ জন্যে পড়ার সময় নানা পদক ও বৃত্তি লাভ করেন। হুগলী
কলেজ থেকে তিনি অঙ্কশাস্ত্রে অনার্স নিয়ে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান দখল করে
øাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রেপর যুগপৎ চিকিৎসাশাস্ত্র ও রসায়নশাস্ত্র
নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। প্রথমে এম.বি পাশ করেন এবং মেডিসিন ও শল্যবিদ্যায়
প্রথম স্থান অর্জন করেন। তাঁকে এজন্যে সম্মান জানানো হয় গুডফি ও ম্যাকলিয়ড
পদক দিয়ে। ১৯০২ সালে তিনি এম.ডি ও ১৯০৪ সালে ীপজিওলজিতে পি.এইচ.ডি উপাধি
পান। এছাড়াও তিনি ‘ফোটস মেডেল’, ‘গ্রিফিথ প্রাইজ’, ‘মিন্টো মেডেল’সহ
চিকিৎসাবিজ্ঞানে অনেক পদক ও পুরস্কার লাভ করেন।
ঢাকা মেডিক্যাল স্কুলে তাঁর চাকুরী জীবনের শুরু। এরপর কলকাতা
ক্যাম্বেল মেডিক্যাল স্কুল। ক্যামেবল মেডিক্যাল স্কুলের বর্তমান নাম
‘নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ’। ক্যাম্বেল স্কুলেই তিনি কালাজ্বর বিষয়ে
অধিকাংশ গবেষণা করেন। পূর্বে কালাজ্বরের চিকিৎসা হতো এন্টিমনি ব্যবহার
করে। সে চিকিৎসা ছিলো কষ্টকর ও বেদনাদায়ক। এতে আরোগ্য হতে সময়ও লাগতো
প্রচুর। রোগীদের অনেকেই মারা পড়তো। উপেন্দ্রনাথ গবেষণার মাধ্যমে ‘ইউরিয়া
ষ্টিবামিন ইনজেকশ’ আবিষ্কার করেন ১৯২৩ সালে। বেদনাহীন এই ইনজেকশন
কালাজ্বরের একমাত্র সফল প্রতিষেধক ও আরোগ্যদায়ক ওষুধ হিসেবে দেশ-বিদেশে
পরিচিতি লাভ করে। আসামে ১৯২৩ ও ১৯২৮ সালে ব্যাপকভাবে কালাজ্বরের
প্রাদুর্ভাব ঘটে। তখন ভরসা কেবল ব্রহ্মচারীর ইনজেকশন। এক হিসেবে জানা যায়,
১৯৩৩ সাল পর্যন্ত এই ওষুধ ৩,২৫০০ জীবন রক্ষা করেছে। এই ওষুধ গ্রীস, ফ্রান্স
ও চীনে ব্যবহৃত হয়। এই বাঙালি মনীষী বিশ্ববিজ্ঞানী মহলের প্রশংসা ও দৃষ্টি
আকর্ষণে সক্ষম হন। অ ঞৎবধঃরংব ড়হ কধষধুধৎ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ। জার্মান
চিকিৎসাবিদ ডাঃ কার্লমেনস রচিত চিকিৎসাবিজ্ঞান গ্রন্থের কালাজ্বর অধ্যায়
উপেন্দ্রনাথেরই প্রণীত।
তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি
ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। তিনি রয়্যাল সোসাইটির
সদস্য পদ লাভ করেন। ডাঃ ব্রহ্মচারী পৃথিবীর দ্বিতীয় ও ভারতের প্রথম ব্লাড
ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৪৬ সালে এই বিজ্ঞান সাধকের প্রয়াণ ঘটে।
আরো দেখুন……………