আর্য-বহিরাক্রমন তত্ত্ব সম্পর্কে ডঃ আম্বেদকরের দৃষ্টিভঙ্গী কি ছিল…?
– ডঃ আম্বেদকর ছিলেন আর্য-বহিরাক্রমন তত্ত্বের তীব্র বিরোধী। অর্থাৎ আর্যরা যে বাইরে থেকে ভারতবর্ষে অনুপ্রবেশ করেছে, তা তিনি আদৌ মানতেন না।
তাঁর মতে, “(আর্য) বহিরাক্রমন তত্ত্বটি ছিল একটি নিতান্তই ঊর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিকল্পনামাফিক উদ্ভাবনা, যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল এই কারনে যাতে, খুব সহজে’ই প্রমান করা যায় যে, ইন্দো-জার্মান প্রজাতির মানুষেরাই ছিলেন বর্তমান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জনগোষ্ঠী ‘আর্যদের’ একমাত্র আদি ও অকৃত্তিম পুর্বপুরুষ।
কাল্পনিক বিষয়! তথাপি, উক্ত ভ্রান্ত ধারনাটিকেই অহেতুক বৈধতা দানের উদ্দেশ্যেই এহেন তত্ত্বের অবতারণা। তাছাড়া এটি বিজ্ঞানসম্মত ধ্যান-ধারনারও পরিপন্থী বটে! এর মাধ্যমে একদিকে যেমন সত্যকে পরিস্ফুট হতে ব্যাহত করা হয়েছে, আর অন্যদিকে ঠিক যেন পুর্বপরিকল্পিত পথেই সম্পুর্ন অসত্য এই বিষয়টিকে সর্বদা প্রমান করার অপপ্রয়াস চলেছে; যা প্রতিপদক্ষেপেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বারবার”।
আমার সিদ্ধান্তঃ
১.আর্য জাতি’র সম্পর্কে বেদ-এ কোথাও কোন উল্লেখ নেই।
২.আর্যরা যে ভারতবর্ষের বাইরে থেকে এদেশে অনুপ্রবেশ করেছে, বেদ-এ এমন ধরনের কোন প্রমান পাওয়া যায় না। পাশাপাশি এদেশের-ই আদি বাসিন্দা বলে যাদের ধরে নেওয়া হয়, সেই সব ‘দাস’ এবং ‘দাস্যদে’র-কে তারা যে পরাজিত করেছিলেন, এই তথ্যটি’ও অবান্তর।
৩. এমন কোন নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমান নেই যে, যার দ্বারা প্রমান করা যায় আর্য্য, দাস এবং দাস্যদের মধ্যে বিভেদ’টি ছিল কোন জাতিগত প্রভেদ।
৪. গায়ের রং-এর দিক থেকে আর্যরা যে দাস এবং দাস্যদের থেকে আলাদা ছিল, এই বিতর্কিত বিষয়টিকে বেদ কখনো-ই স্বীকার করে নি। এনথ্রোপমেট্রি যদি তেমন-ই কোন বিজ্ঞান হয়, যা কিনা জনগণের জাতিগত বৈশিষ্ট’কে নির্ধারন করার উপর নির্ভরশীল; তবে আর যাই হোক না কেন, সংশ্লিষ্ট হিসেবনিকেশ অনুযায়ী শেষপর্যন্ত আমরা এই গভীর সত্যে নিশ্চিত ভাবে উপনীত হতে পারি যে ব্রাক্ষ্মন এবং দলীত’রা অন্তত জাতীগত ভাবে এক ও অভিন্ন। আর-তাই তো, যদি কোন ব্রাহ্মণ’কে আমরা আর্য বলতে পারি; তবে সেই একই শর্তে অস্পৃশ্যরাও আবশ্যই আর্য এবং ব্রাহ্মন’রা যদি দ্রাবিড় হতে পারেন তবে অন্ত্যজেরাও নিশ্চিত ভাবে দ্রাবিড়।
১.আর্য জাতি’র সম্পর্কে বেদ-এ কোথাও কোন উল্লেখ নেই।
২.আর্যরা যে ভারতবর্ষের বাইরে থেকে এদেশে অনুপ্রবেশ করেছে, বেদ-এ এমন ধরনের কোন প্রমান পাওয়া যায় না। পাশাপাশি এদেশের-ই আদি বাসিন্দা বলে যাদের ধরে নেওয়া হয়, সেই সব ‘দাস’ এবং ‘দাস্যদে’র-কে তারা যে পরাজিত করেছিলেন, এই তথ্যটি’ও অবান্তর।
৩. এমন কোন নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমান নেই যে, যার দ্বারা প্রমান করা যায় আর্য্য, দাস এবং দাস্যদের মধ্যে বিভেদ’টি ছিল কোন জাতিগত প্রভেদ।
৪. গায়ের রং-এর দিক থেকে আর্যরা যে দাস এবং দাস্যদের থেকে আলাদা ছিল, এই বিতর্কিত বিষয়টিকে বেদ কখনো-ই স্বীকার করে নি। এনথ্রোপমেট্রি যদি তেমন-ই কোন বিজ্ঞান হয়, যা কিনা জনগণের জাতিগত বৈশিষ্ট’কে নির্ধারন করার উপর নির্ভরশীল; তবে আর যাই হোক না কেন, সংশ্লিষ্ট হিসেবনিকেশ অনুযায়ী শেষপর্যন্ত আমরা এই গভীর সত্যে নিশ্চিত ভাবে উপনীত হতে পারি যে ব্রাক্ষ্মন এবং দলীত’রা অন্তত জাতীগত ভাবে এক ও অভিন্ন। আর-তাই তো, যদি কোন ব্রাহ্মণ’কে আমরা আর্য বলতে পারি; তবে সেই একই শর্তে অস্পৃশ্যরাও আবশ্যই আর্য এবং ব্রাহ্মন’রা যদি দ্রাবিড় হতে পারেন তবে অন্ত্যজেরাও নিশ্চিত ভাবে দ্রাবিড়।
********************************************************************
What were Dr. Ambedkar’s views on the Aryan invasion theory?
Answer:
Dr Ambedkar was against the Aryan Invasion Theory.
Dr Ambedkar was against the Aryan Invasion Theory.
Quote:
‘The theory of invasion is an invention. This invention is necessary because of a gratuitous assumption that the Indo-Germanic people are the purest of the modern representatives of the original Aryan race. The theory is based on nothing but pleasing assumptions, and inferences based on such assumptions. The theory is a perversion of scientific investigation. It is not allowed to evolve out of facts. On the contrary, the theory is preconceived and facts are selected to prove it. It falls to the ground at every point.’
‘The theory of invasion is an invention. This invention is necessary because of a gratuitous assumption that the Indo-Germanic people are the purest of the modern representatives of the original Aryan race. The theory is based on nothing but pleasing assumptions, and inferences based on such assumptions. The theory is a perversion of scientific investigation. It is not allowed to evolve out of facts. On the contrary, the theory is preconceived and facts are selected to prove it. It falls to the ground at every point.’
My conclusions are:
1. The Vedas do not know any such race as the Aryan race.
2. There is no evidence in the Vedas of any invasion of India by the Aryan race and it having conquered the Dasas and Dasyus supposed to be the natives of India.
3. There is no evidence to show that the distinction between Aryans, Dasas and Dasyus was a racial distinction.
4. The Vedas do not support the contention that the Aryans were different in colour from the Dasas and Dasyus…..If anthropometry is a science which can be depended upon to determine the race of a people….. (then its) measurements establish that the Brahmins and the Untouchables belong to the same race. From this it follows that if the Brahmins are Aryans the Untouchables are also Aryans. If the Brahmins are Dravidians, the Untouchables are also Dravidians…..’
1. The Vedas do not know any such race as the Aryan race.
2. There is no evidence in the Vedas of any invasion of India by the Aryan race and it having conquered the Dasas and Dasyus supposed to be the natives of India.
3. There is no evidence to show that the distinction between Aryans, Dasas and Dasyus was a racial distinction.
4. The Vedas do not support the contention that the Aryans were different in colour from the Dasas and Dasyus…..If anthropometry is a science which can be depended upon to determine the race of a people….. (then its) measurements establish that the Brahmins and the Untouchables belong to the same race. From this it follows that if the Brahmins are Aryans the Untouchables are also Aryans. If the Brahmins are Dravidians, the Untouchables are also Dravidians…..’
সঙ্কলকঃ শ্রী নীহারণ প্রহারণ ….
( তথ্যসূত্রঃ B. R. Ambedkar, ‘Writings and Speeches’ [Bombay: Education Department, Government of Maharashtra, 1986-1990], Vol. 7, p. 85 and 302-303, quoted in Koenraad Elst’s Indigneous Indians, Agastya to Ambedkar, op. cit., p.410-411).