শ্যামলকান্তি আর রফিউল রাব্বি দুজনকেই ইসলাম দিয়ে কুপোকাতের চেষ্টা চলেছে। এখন এক বামাতী দাবী করছে শ্যামলকান্তি হিন্দু বলে তাকে নির্যাতিত হতে হয়েছে এমনটা বলা নাকি সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো হবে।
আচ্ছা, শ্যামলকান্তি না হয়ে যদি সিরাজুল ইসলাম হতো তাহলে কি রিফাত নামের ছাত্রটি অভিযোগ করত স্যার তার নবীরে গালি দিছে? একজন হিন্দু নবীরে নিয়া কটুক্তি করছে এই খবরে যেভাবে তৌহদী জনতার ঈমানদন্ড খাড়া হয়ে উঠেছিল সেটা কি অন্য কেউ হলে হতো? রসরাজ কাবার উপর শিবের ছবি বসিয়েছে শুনেই দুইশো বাড়ি ধসে গেছে। পরে যখন জানা গেলে এই কাজ জাহাঙ্গীর নামের একজন করেছেন ঈমানদন্ড আর খাড়া হয় নাই…। আরেকজন ১৭টা কুরআনের উপর হাগু দিয়া হিন্দুদের ফাঁসাতে গিয়া ধরা খাওয়ার পরও জাতির অনুভূতির দন্ড ঘুমাইছিল। এই পর্যন্ত দেশের যতজন শিক্ষকের উপর ইসলাম অবমাননারা অভিযোগ উঠেছে তাদের সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক। রফিউল রাব্বি একজন প্রগতিশীল সেক্যুলার আপাদমস্তক মানুষ। এ ধরণের মানুষ বাংলাদেশে হিন্দুদের চাইতেও সংখ্যালঘু। নাস্তিক হলে তো কথাই নেই। তাদের হয়ে আদালতে কথা বলার মত উকিল পাওয়া যায় না। রফিউল রাব্বীকেও ইসলাম অবমাননার মামলা খেতে হয়েছে। … এই এত এত বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে শ্যামলকান্তি ইস্যুটিকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ প্রমাণের চেষ্টা একটা ইতরামি! এরাই কোথাও একটা জিহাদী ধরা খেলে তার ধর্মীয় পরিচয়কে আড়াল করতে চায়। প্রতিদিন ক্ষমতাবানের কাছে দুর্বলের হেরে যাওয়া আর ধর্মীয় পরিচয়ে, ধর্মহীন পরিচয়ে অবিচারের শিকার হওয়া যে এক না এটা বুঝতে স্বদিচ্ছার প্রয়োজন।
আজকাল বামাতীদের নাম মুখে নেয়া যায় না। নাম নিলেই সাম্রাজ্যবাদী জুকার মামুর পায়ে পড়ে কান্নাকাটি করে নালিশ জানায়। ক্লু দিচ্ছি, এই বদমাশটা ব্লগার কিলিংয়ের সময় নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ‘পাকা পায়খানা’ তত্ত্ব হাজির করেছিল…।