JNUঃ অপরিনামদর্শী বামদের দখলদারী।
প্রথমেই বলে রাখা ভাল JNU তে ছাত্রছাত্রীদের বছরে মাত্র ২০০-৫০০ রুপী ফী দিতে হয়; অর্থাৎ প্রায় সম্পুর্ণ সরাকারী খরচে পড়ার সুযোগ দেয়া হয় JNU তে। মাসিক হোস্টেলে থাকা খাওয়া বাবদ চার্জ ২,০০০/- রূপী। এবছর হোস্টেল চার্জ মাসিক ৪,০০০/- রূপী করা হয়েছিল। বলা বাহুল্য সরকারকে কোটি কোটি টাকা এই বাবদ ভর্তুকি দিতে হয়। যখনই হোস্টেল ফিস বাড়ানো হল সাথে সাথে বাম দলের ছাত্রছাত্রীরা সহিংস আন্দোলন শুরু করল। তারা কোন ছাত্র ছাত্রীকে পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে নিষেধ করল। ভেঙ্গে দিল ইন্টারনেট সার্ভার যার মাধ্যমে ফর্ম পুরণ করতে হবে। পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেল।
এই ঘটনার সাথে যুক্ত হয় নতুন করে সেদিনের আক্রমন। কে আক্রমন করেছিল? মুখোসধারীরা কোন দলের ছিল তা নিয়ে পরস্পর বিরোধী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। গার্ডরা বলছে সেই মুখোশধারী আক্রমণকারীরা ছিল বাম বা communist দলের এবং তারাই প্রথমে আক্রমন চালায়। ছাত্রদল যা RSS এর অংসঙ্গঠন সেটা পরে পালটা নেয়।
ঘটনাটি যে পরিকল্পিত তা বুঝা যাচ্ছে। কারা এই পরিকল্পনা করতে পারে সহজেই অনুমান করা যায়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এক বিশাল ষড়যন্ত্র যে চলছে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা করেনা। তাই এখন সকলেই যখন প্রকৃত সত্য না জেনেই সব দোষ মোদীর ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন; তখন বাধ্য হয়েই লিখতে হচ্ছে কথাগুলো।
কংগ্রেস সরকারের আমলে ২০১৩ সনে ভারতের পার্লামেন্টে সন্ত্রসী আক্রমনের মূল হোতা কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী আফজল গুরুকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। অপর আরেক কাশ্মীরি সন্ত্রাসী মকবুল ভাটকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয় ১৯৮৪ সনে ইন্দিরা গান্ধীর শাসনামলে। JNU কখনই দেশের প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়িত ছিলনা; যদিও বাম রাজনীতির দীক্ষা সেখানে দেওয়া হত। কংগ্রেস শাসনকালে কোনদিনই JNU তে এই সকল ফাসির বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠেনি।
২০১৬ সনে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে আফজল গুরু ও অপর সন্ত্রাসী মকবুল ভাটের ফাঁসির প্রতিবাদে JNU তে পোষ্টার ছড়ানো হয়। এরপর আওয়াজ উঠে “কাশ্মীরের স্বাধীনতা না হওয়া পর্যন্ত জ্বেহাদ চলবে” ” ভারত টুকরা টুকরা না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে”। কানাইয়া কুমার ও ওমর খালেদ দুজনই JNU এর ছাত্র ছিলেন তখন। এদের বিরূদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার কোন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেনি কারন দিল্লী আম আদমি দলের কেজরীলালের অধীনে চলে। কানাইয়া নিজেই কথাগুলো বলেছিলেন তা ভিডিও ফরেনসিক স্টাডি করে নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। তবু তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় সরকার। এর ফলেই JNU স্থায়ী ভাবে চুড়ান্ত বামদের দখলে চলে যায়।
JNU তে বাম আধিপত্য ভারতের অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ দেখা দিচ্ছে। মনে রাখতে হবে বাম আদর্শ কোন মঙ্গল বয়ে আনেনা। কমুনিজম সারা বিশ্বে পরাজিত হয়েছে তাদের অদুরদর্শীতার জন্য। ইরানে বামদল লড়াই করেছিল শাহকে সরানোর জন্য। সাথে পেয়েছিল ইস্লামিক মৌলবাদী গোষ্ঠীকে। শাহ পালালেন, দেশে খোমেনী ক্ষমতায় এসে ইসলামী হুকুমত চালু করলেন আর শিরোচ্ছেদ করা হল ৫০,০০০ বাম পন্থীকে। ইরান আধুনিক বিশ্ব থেকে ফিরে গেল হাজার বছরের পুরানো বর্বরতার দিকে। ভারতেও বামদের প্রধানমিত্র ইসলামী মৌলবাদী শক্তি।
ভারতকে রক্ষা করতে হলে বামবাদকে বুঝতে হবে,আত্মঘাতী এই পথ ছেড়ে আসতে হবে, নইলে তাদেরও শিরোচ্ছেদ হবেই হবে এবং কেউ রক্ষা করতে পারবেনা। গনতন্ত্রের সুবিধা আছে বলেই ভারতে বিক্ষোভ দেখাতে পারছেন, পাকিস্তান বা চীনে কি সেটা সম্ভব হত? আমেরিকা বিশ্বের গনতন্ত্রের অগ্রদুত; কিন্তু এখানে কি কোন ফিস বাড়ালে ছাত্র ছাত্রীরা এবভাবে বিক্ষোভ দেখানোর কথা ভাবতে পারে? না, সামান্য একটু আইন অমান্য করলে কিভাবে ইইউনিভার্সিটিতে কিভাবে ঘোড়া নিয়ে পুলিশ নামে দেখেছি। এসব তাই কেউ চিন্তাও করেনা। সরকারী সকল বিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা দরকার। জনগনের টাকায় পড়ে জনজীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেয়া উচিত নয়।
সুতরাং নিজের পা দিয়ে নিজের অস্তিত্ব মাড়িয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। সামনে অনেক বিপদ আছে; একটু সাবধান হোন। আর সাধারন ভারতের মানুষের উচিত এই বামদের সতর্ক করা কারণ ভারতের বিপদ পশ্চিমে উকি দিচ্ছে। ঘোষণা দিয়েছে ওরা ” ভারতে খেলাফত হবেই হবে।”