(এই পোস্টটি Imran Khalifa নামের এক হুর লোভী বান্দার উদ্দেশ্যে নিবেদিত, যে মনে করে হিন্দু ধর্ম হলো মনগড়া। হিন্দু ধর্ম যদি মনগড়াই হতো, তাহলে এটা বাস্তবভিত্তিক হতো না। হিন্দু ধর্মের বাস্তবতা এবং ইসলামের অবাস্তবতা বুঝতে হলে পড়ুন আমার এই প্রবন্ধটি।)
যখন কোনো মুসলমান বলে,”আমি এক আল্লা ছাড়া কাউকে ভয় করি না।” আসলে সে তখন পুরো সিস্টেমকে শুধু অস্বীকার করে না, এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। কোনো মুসলমান যদি আক্ষরিক অর্থেই এই বিশ্বাস মতো কাজ করে তাহলে চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়ে পৃথিবীতে এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে যে, স্বয়ং আল্লাও পৃথিবীতে নেমে এসে সেই বিশৃঙ্খলা থামাতে পারবে না।
এর বিপরীতে সনাতন হিন্দু ধর্ম পৃথিবীতে সম্পূর্ণভাবে বাস্তবতার ধর্ম। হিন্দু ধর্মের এমন কোনো বিধি বিধান নেই যে, তা পৃথিবীর তাবৎ সভ্যতা তথা প্রকৃতির সাথে সাংঘর্ষিক। ইসলামের অবাস্তবতার কথা আলোচনার পূর্বে, হিন্দু ধর্মের বাস্তবতার দিকগুলোর কথা আগে বলে নিই।
হিন্দু ধর্ম, বহু দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাস করে। পূজা মানে কারো কাছে নিশর্তভাবে নিজের বুদ্ধি বিশ্বাস বিবেক সব কিছু সমর্পন করে সীলগালা প্রতিবন্ধী হওয়া নয়। পূজা মানে ভক্তি, শ্রদ্ধা। যারা সমাজের জন্য, দেশের জন্য, সভ্যতার উন্নতির জন্য কিছু করে গেছেন, তাদেরকেও যে ভক্তি, শ্রদ্ধা করা হয়; সেটাও এক প্রকার পূজা।
পূজার বিষয়টি প্রতীকী। এই প্রতীকী পূজার মাধ্যমেই হিন্দুরা বাস্তবতার শিক্ষা নেয়। আমরা পূজা করি দেবাদিদেব মহাদেব অর্থাৎ শিবের, তার স্ত্রী দুর্গার, তাদের ছেলে মেয়ে কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী সরস্বতীসহ অসংখ্য দেব-দেবীর। এদের সাথে সাথে ময়ূর, সিংহ, হাঁস, ইঁদুর পেঁচা, সাপ অর্থাৎ প্রকৃতির সকল প্রাণীর এবং কলা গাছ সহ প্রকৃতির সকল উদ্ভিদের।
এর কারণ কী ? বাস্তব সমাজে এর প্রয়োজন কী ? আপনি যদি বিবাহিত হন, আপনার যদি ছেলে মেয়ে থাকে, আপনি যদি পিতা -মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন পরিবেষ্টিত একটি যৌথ পরিবারে বাস করেন, তাহলেই বুঝবেন, এই বহু দেব-দেবীর পূজার বাস্তবতা।
আপনার পিতা হচ্ছেন দেবাদিদেব মহাদেব, তাকে সন্তুষ্ট না করে আপনি এক পা ও কোথাও দিতে পারবেন না। আপনার মা হচ্ছেন, দুর্গা। দুর্গা যেমন দশ হাত প্রসারিত করে সকল দিক সামলান, তেমনি আপনার মা ও তার জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে সংসারের সকল দিক রক্ষা করেন। সুতরাং তাকে সন্তুষ্ট না রাখলে সংসারের কোনো কিছুই ঠিক-ঠাক মতো চলবে না।
সংসারে আপনার মা যদি হন নিষ্ক্রিয় দুর্গা, তাহলে আপনার স্ত্রী হলো সক্রিয় দুর্গা। আপনার স্ত্রীর দুটো হাত থাকতে পারে, কিন্তু তার ক্ষমতা বাস্তবেই দশ হাতের সমান। এই স্ত্রী দেবীকে সন্তুষ্ট না রাখলে সে যে মা কালীর রূপ ধারণ করে কিভাবে আপনার সংসার পৃথিবীকে লণ্ডভণ্ড করে দেবে, সেটা আপনিই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন।
আপনার যদি বড় ভাই থাকে, সেও এক বড় দেবতা; সুতরাং সন্তুষ্ট রাখতে হবে তাকেও। বড় বোন থাকলে সে ও এক বড় দেবী , পূজার ফুল তাকেও দিতে হবে। ছোট ভাই বোন থাকলে, তারাও এক একজন ছোট দেব-দেবী, পূজার ফুল চাই তাদেরও। নিজের ছেলে মেয়ে থাকলে তারাও এক একজন উদীয়মান দেবতা, ভবিষ্যতের কার্তিক লক্ষ্মী, সরস্বতী গনেশ। তাদের যে কত চাহিদা, আর কিভাবে কোন ফুল দিয়ে যে তাদের সন্তুষ্ট রাখতে হয়, সেটা, যাদের ছেলে মেয়ে আছে, তারা তো হাড়ে হাড়েই টের পাচ্ছেন। আমি আর না ই বা বললাম।
এতক্ষণে নিশ্চয় বোঝাতে পেরেছি, সংসারে ভালোভাবে শান্তিতে বাঁচতে হলে বহু দেব-দেবীর পূজার করার অভ্যাসের কেনো প্রয়োজন। যাদের কথা বললাম, তাদের কেউ একজন যদি আপনার উপর অসন্তুষ্ট হয় , তাহলে আপনার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হতে বাধ্য। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, আরো দেবতা আছে। আপনি যদি চাকরি করেন, তাহলে আপনার অফিসের যত বস, ততজন দেবতা। তাদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ফুল দিয়ে, অর্থাৎ আলাদা আলাদা ভাবে তাদেরকে সন্তুষ্ট রাখতে হবে। না হলে, আপনার যে মন্দির অর্থাৎ অফিস, সেখান থেকে আপনি গেট আউট।
আপনি যদি ব্যবসায়ী হন, তাহলে আপনার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি ক্রেতা বা গ্রাহক এক একজন গণদেবতা। এই গণদেবতাদের সন্তুষ্ট করতে না পারলে আপনার ব্যবসা লাঠে উঠবে অর্থাৎ লালবাতি জ্বলবে।
আপনি যে দেশে বাস করেন, সেই দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী তো একেকজন, দেবাদিদেব মহাদেব বটেই; এমনকি প্রত্যেকটি মন্ত্রী, এমপি, স্থানীয় নেতা-পাতি নেতাদের প্রত্যেকেই একেকজন শক্তিশালী দেবতা। এদেরকে সন্তুষ্ট করে না চললে যে আপনার কী হাল হবে, সেটা আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।
এভাবে সংসার-সমাজ-রাষ্ট্রে বসবাস করার জন্য ও টিকে থাকার জন্য জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে, আমাদের প্রত্যেককেই জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে বহু দেবতার পূজা করে যেতে হচ্ছে। হিন্দু ধর্মের বহু দেবতার পূজার মাধ্যমে হিন্দুরা আসলে সেই বাস্তবতাটাকেই চর্চা করে চলেছে।কারণ, একজনকে সন্তুষ্ট করে কেউ কখনো সংসারে টিকে থাকতে পারে না। তাই মুসলানদের এক আল্লাকে সন্তুষ্ট করে চলার চিন্তা সম্পূর্ণ অবাস্তব। আর পৃথিবীর সকল উগ্রতার মূল কারন হলো এই ‘এক’। কারণ, যারা ‘এক” এ বিশ্বাস করে তারা কখনোই দু্ই বা বহুকে স্বীকার করতে পারে না।
এ তো গেলো বহু দেব-দেবীর পূজার কারণ। এখন দেখা যাক, প্রকৃতির নানা জীবজন্তু ও গাছপালাকে হিন্দুরা কেনো পূজা করে ? বিজ্ঞান বলছে, মানুষ যেসব খাদ্য খায়, তার কোনোটিই সে উৎপাদন করতে পারে না, সবকিছুর জন্যই সে হয় প্রাণী, না হয় উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। এটাকে বলে খাদ্য শৃঙ্খল। সেই খাদ্য শৃঙ্খলে একেবারে ছোট মাছ খাচ্ছে উদ্ভিদ জাতীয় শ্যাওলা, সেই ছোট মাছকে খাচ্ছে আর একটু বড় মাছ, ঐ মাছকে খাচ্ছে তার চেয়ে বড়টা, আর সেই বড়টাকে খাচ্ছে মানুষ। আবার গরু খাচ্ছে ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ, সেই গরুর দুধ খাচ্ছে মানুষ। এভাবে প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণী ও উদ্ভিদ কোনো না কোনোভাবে মানুষের উপকারে লাগছে। আর যে উপকার করে বা উপকারে লাগে তাকে মানুষের পূজা করতেই হয়। যেমন মুসলমানেরা যত নৃশংসভাবেই গরুকে জবাই করে তার মাংস খাক না কেনো, যখন ঐ গরুটি চাষের কাজে সাহায্য করে বা দুধ দেয়, তখন তাকে, মুসলমানদের, যত্ন-আত্তি অর্থাৎ পূজা না করে উপায় নেই।
মানুষ, গাছপালার দেয়া খাদ্য, ধান-গম-সরিষা ইত্যাদি গ্রহন করেই প্রত্যক্ষভাবে বেঁচে আছে। সুতরাং গাছকে লালন পালন, যত্ন-আত্তি অর্থাৎ পূজা করা যে কতটা জরুরী, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়াও জ্বালানী থেকে শুরু করে ঘারের খাট, ড্রেসিং টেবিল, দরজা-জানালাসহ আধুনিক জীবনের যত ঠাটবাট তার বেশির ভাগের জন্যই আমরা গাছের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং গাছপালাকে পূজা না করলে আমাদের মরে যাওয়াই ভালো। কারণ বেঁচে থাকলেই তো অক্সিজেন লাগবে, সেটা গাছ না দিলে পাবো কোথায় ?
সুতরাং মানুষ সহ প্রকৃতির সকল কিছুকে যে হিন্দুরা দেবতা জ্ঞানে পূজা করে, সেই কারণটা নিশ্চয় এতক্ষণে পরিষ্কার। হিন্দু ধর্মের বাস্তবতা আসলে এখানেই। এর বিপরীতে দেখা যাক ইসলাম ধর্মের বাস্তবতাটা কোথায় ? বা আদৌ ইসলাম বাস্তবসম্মত ধর্ম কি না ?
মুসলমানেরা দাবী করে তারা কোনো কিছুর পূজা করে না। এই দাবীটাই আসলে অবাস্তব। প্রথমেই বলেছি, পূজা মানে কারো কাছে অন্ধ আত্মসমর্পন নয়। পূজা মানে শ্রদ্ধা, ভক্তি। শুধু হিন্দুরাই নয়, মানুষ হিসেবে সংসার-সমাজ-রাষ্ট্রে বেঁচে থাকতো হলে, কিভাবে যে মানুষরূপী দেবতাদেরকেই মানুষের পূজা করে চলতে হচ্ছে, উপরে তা বিষদ বর্ণনা করেছি। এই সূত্রে প্রত্যেকটি মুসলমানকেই প্রতিনিয়ত পূজা করে চলতে হচ্ছে। একই ভাবে তারা হিন্দুদের মতোই পূজা করে চলেছে প্রকৃতির সব কিছুকে। ইসলামের কোথাও আগুন এবং সূর্যের কোনো প্রশংসা নেই। কিন্তু এই দুটি জিনিসের জন্যই, বিজ্ঞান মতে, পৃথিবীতে মানুষের জন্ম হয়েছে এবং মানুষ এখনও টিকে আছে। তাই হিন্দুরা আগুন ও সূর্যের পূজা করে। হিন্দু ধর্ম যেহেতু বাস্তবতার ধর্ম তাই বিজ্ঞানের সাথে তার কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু ইসলাম বাস্তবকে স্বীকার করে না বলেই শুধু বিজ্ঞান নয়, সব কিছুর সাথে তাদের বিরোধ। রান্না বান্না সহ নানা কাজে আগুন লাগে বলেই হিন্দুরা আগুনকে দেবতা হিসেবে মানে এবং তার পূজা করে। কিন্তু একই ভাবে মুসলমানরাও আগুনকে কাজে লাগিয়ে বেঁচে আছে, কিন্তু তার প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধা বোধ নেই। আগুন না থাকলে কুরবাণীর মাংস, আল্লা নিজে এসেও সিদ্ধ করে দিয়ে যেতে পারতো না। এখানে আবার মুসলমানরা বলবে, আগুন তো আল্লারই সৃষ্টি। তো আল্লার সৃষ্টি তো তোর বাপ ও, বাপকে শ্রদ্ধা করতে পারলে, আগুনকে শ্রদ্ধা করতে অসুবিধা কোথায় ?
মুসলমানরা পশ্চিম দিকে মুখ করে বসে পায়খানা প্রসাব করে না, থুথু ফেলে না, পা দিয়ে ঘুমায়ও না। তারা বলে, তারা নাকি পূজা করে না, কিন্তু এগুলো কি ‘দিক’ এর পূজা না ? কাবা বা কোনো সুন্দর মসজিদের ছবি এবং নবীর ব্যবহৃত জিনিসপত্রের ছবি ঘরের মধ্যে রেখেও তারা যথেষ্ট ভক্তি শ্রদ্ধা করে, এটাও পূজার মধ্যেই পড়ে।
বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদের জন্য শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ আছে। প্রতিবছর এগুলোতে লোকজন ফুল দিয়ে তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানায়, এটাও এক প্রকার পূজা; যা মুসলমানরা বছরের পর বছর ধরে করে আসছে।
হজ করতে গিয়ে মুসলমানরা কালো পাথরকে শ্রদ্ধা সহকারে চুমু খায়, এটা অবশ্য পূজা নয়, পূজার চেয়েও বেশি, একপ্রকারের যৌনতা। হিন্দুরা অবশ্য কোনো দেবতাকে কখনো চুমু টুমু খায় না।
গান বাজনা, সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের অঙ্গ; যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু মুসলমানরা অবাধে গান বাজনার চর্চা করছে, শুনছে, গান বাজনা ছাড়া মুসলমানদের যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান এবং ঈদের আনন্দ মাটি। তাহলে ইসলামে যে গান বাজনা হারাম, তার বাস্তবতা কোথায় ?
পৃথিবীর আদিম মানুষের প্রথম শিল্পকলা হচ্ছে বাদ্যের তালে তালে নাচ। সেই নাচ, সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের একটা অঙ্গ। যেমন শিবের তাণ্ডব নৃত্য। এর মানে হচ্ছে সনাতন হিন্দু ধর্মের বিধি বিধান গুলো ধারণ করে আছে পৃথিবীর আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সমস্ত কিছু। কিন্তু অনেক মুসলমান এখন নাচ চর্চা করছে, তাছাড়া নাচ দেখে না বা পছন্দ করে না, এমন মুসলমান পৃথিবীর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাহলে ইসলামে নাচ নিষিদ্ধের বাস্তবতা কোথায় ?
ছবি আঁকা, ছবি তোলা, ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মান হিন্দু ধর্মের একটা প্রধান বিষয়, যা মুসলমানদের জন্য মহাপাপ। কিন্তু বর্তমানের মুসলমানরা ছবি আঁকছে, ছবি তুলছে, সিনেমা টিভিতে অভিনয় করছে, সিনেমা বানচ্ছে, টিভি চ্যানেল খুলে ব্যবসা করছে, সংখ্যায় অল্প হলেও মুসলমানদের মধ্যে কেউ কেউ ভাস্কর্য শিল্পের সাথে জড়িত; এগুলো সবই সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের চর্চার বিষয়; অথচ মুসলমানরা অবাধে এসব বিষয় চর্চা করে চলেছে। তাহলে তথাকথিত আধুনিক ধর্ম ইসলাম যে এগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, তার বাস্তবতা কোথায় ? এসব কি এটাই প্রমাণ করে না যে, আসলে ইসলাম একটা অবাস্তব ধর্ম ?
কোরান হাদিসের অসংখ্য জায়গায় বার বার বলা হয়েছে, মুহম্মদের জীবনই হলো মুসলমানদের জন্য শ্রেষ্ঠ আদর্শ। এখন দেখা যাক, সবকিছু বাদ দিয়ে মুসলমানরা যদি সব কাজে মুহম্মদকেই অনুসরণ করা শুরু করে তাহলে কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে-
মুহম্মদ, ২৫ বছর বয়সে , ৪০ বছর বয়স্কা, ২ বারের বিধবা, ২ যুবতী মেয়ের মা, খাদিজাকে বিয়ে করেছিলো। কয়জন মুসলমানের পক্ষে এই সুন্নত মানা সম্ভব বা কয়জন মুসলমান এটা মানতে উৎসাহী ?
মুহম্মদ, ৫০ বছর বয়সে, বন্ধু আবুবকরের মেয়ে, ৬ বছরের আয়েশাকে বিয়ে করেছিলো। এই সুন্নত কয় জন মুসলমান বর্তমানে পালন করতে পারবে ? আর এই সুন্নত পালন করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই মুসলমানদের বন্ধুতে বন্ধুতে মুখ দেখাদেখি বা লড়াই শুরু হবে কি না ? অথবা এই সুন্নত পালন করে কয় জন মুসলমান তাদের ৯ বছরের মেয়েকে ৫৩ বছরের বুড়ার সাথে বাসর রাত করতে দিতে ইচ্ছুক ?
আয়েশাকে বিয়ের ৩ বছর পর, আয়েশার বয়স যখন ৯, তখন ৫৩ বছরের বুড়া মুহম্মদ, আয়েশার সাথে বাসর করে, যেই বাসর ঘরেও আয়েশা মুহম্মদকে চাচা বলে ডাকছিলো; আর বলছিলো, চাচা, এগুলো আমার সাথে কী করছেন ? এখন বলেন, কয়জন মুসলমান, মুহম্মদের এই সুন্নত পালন করতে আগ্রহী ? আর পালন করে কয়জন শিশু ধর্ষণের অভিযোগে জেলে যেতে ইচ্ছুক ? ৯ বছরের একটা মেয়ে, ক্লাস থ্রিতে পড়ে; ঐ বয়সী একটা মেয়েকে দেখুন আর একবার চিন্তুা করুন, কিভাবে মুহম্মদ তার সাথে সেক্স করতে পারলো ? এরকম অমানবিক সেক্স কয়জন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব ?
মুহম্মদ, তার পালিত পুত্রের বউ, জয়নবকে বিয়ে করেছিলো। এটা করতে বর্তমানে কয়জন মুসলমানের রুচীতে বাধবে না ?
মুহম্মদ, হাদিস কোরানের বাণীর মাধ্যমে দাসীদের সাথে সেক্স করাকে বৈধ করে গেছে। এখন মুসলমানরা যদি বাড়ির কাজের মেয়ের সাথে শোয়া শুরু করে, তাহলে প্রত্যেকটি মুসলিম পরিবারে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে কি না ?
মুহম্মদ নিজে ২১টি বিয়ে করেছিলো, তারপর তালাক টালাক দিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ৯ জন বউ নিয়ে সংসার করে গেছে। এটা বর্তমানে কয়জন মুসলমানের পক্ষে করা সম্ভব ? আর যদি কেউ করেও তাহলে তাকে সবাই লম্পট বলে অভিহিত করবে কি না ?
ইসলামে সব মুসলমানেরই অধিকার আছে এক সাথে ৪ বউ নিয়ে সংসার করার। বর্তমানে কয়জন মেয়ে এই ব্যবস্থাকে মেনে নিতে প্রস্তুত ?
মুহম্মদের ৪ জন যৌনদাসী ছিলো। এখন কয়জন মুসলমানের পক্ষে বাড়িতে যৌনদাসী রাখা সম্ভব ? আর যদি কেউ রাখে তাহলে তাকে সমাজের লোকজন কি চোখে দেখবে ?
মুহম্মদ, তার নিজের মেয়ে ফাতেমার বিয়ে দিয়েছে, তারই চাচতো ভাই আলীর সাথে; সম্পর্কে আলী ও ফাতেমা চাচা ভাতিজি; বর্তমানে কয় জন মুসলমান মুহম্মদের এই কাজকে স্বীকৃতি দিয়ে চাচার সাথে ভাতিজির বিয়ে দিতে ইচ্ছুক।
মুহম্মদ, কোরান হাদিসের বাণীর মাধ্যমে নিজের মা, নিজের বোন এবং নিজের মেয়ে ছাড়া সকল নিকটাত্নীয় মেয়েদের বিয়ে করার বিধান দিয়ে গেছে। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, নিকটাত্মীয়দের মধ্যে বিয়ে হলে সন্তানের মধ্যে জেনেটিক ডিসঅর্ডার থাকতে পারে এবং তারা শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে।তাহলে বিজ্ঞানের সাথে ইসলামের মিল কোথায় ? মুহম্মদ তো মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী ।
মদীনায় মুহম্মদের পেশা ছিলো অন্যের সম্পদ লুঠপাট করা আর ভোগ করা। বর্তমানে কেউ যদি মুহম্মদের এই পেশাকে অনুসরণ করে লুঠপাট শুরু করে, তাকে সমাজ-রাষ্ট্র কোনো শাস্তি দেবে কি না ?
মুহম্মদ একবার হজ করতে গিয়ে হজের পোশাক পরা অবস্থায় মায়মুনা নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে এবং ঐ পোশাকেই তার সাথে সেক্স করে। এটা বর্তমানের সব মুসলমান যদি পালন করতে চায়, সৌদি আরবের কী অবস্থা হবে ? বা সৌদি এটা পালন করতে দেবে কি না ?
প্রায় সব মুসলমানই এটা স্বীকার করে যে, রোজার সময় ভোরে উঠে আসলে সেহরির নামে কিছু খাওয়া যায় না। তাহলে এই ব্যবস্থা মুহম্মদ কোন আক্কেলে প্রবর্তন করলো এবং বাধ্যতামূলক করলো ? যেটা মানা ই যায় না।
ইসলামে হিলা নামের এক ধরণের বিয়ে ব্যবস্থা আছে। কোনো পুরুষ যদি তার স্ত্রীকে তালাক দেয় এবং পরে আবার তাকে ঘরে নিতে চায়, তাহলে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির সাথে ঐ স্ত্রীর বিয়ে দিয়ে তার সাথে সেক্স করিয়ে তারপর প্রথম স্বামী তাকে ঘরে নিতে পারবে। কোন মহিলা এটাকে মন থেকে মানতে পারে ? বা কোন পুরুষ সামান্য ভুলের জন্য এত বড় ত্যাগ, নিজের স্ত্রীকে অন্যের সাথে শোয়ানোকে স্বীকার সহজে মেনে নিতে পারে ?
ইসলামে জাকাত নামের যে ব্যবস্থা আছে, সেটাকেই কয় জন মুসলমান মন থেকে মানতে পারে ? যদি মন থেকে মানতো ই, তাহলে তো আর জাকাতের কাপড়ের নামে সস্তা কাপড়ের আবির্ভাব ঘটতো না।
২০১৪/১৫ সালে. আইএস সিরিয়া ইরাকে যা করলো, তাকে কোনো সভ্য দেশ সমর্থন করছে না কেনো ? ওরা তো যা করছে সবই ইসলাম সম্মত, এবং তার প্রমান তারা কোরান হাদিস থেকে বের করে দেখাচ্ছে। তারপরেও তাদের কোনো কাজ গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে না কেনো ? তাহলে কি কোরান হাদিসের কিছু কিছু বিধান মানবতা বিরোধী ?
পৃথিবীর ৫৭টি মুসলিম দেশের মধ্যে কয়টি দেশে ইসলামিক আইন, তথা শরিয়া আইন চালু আছে ? এর মানে কি এই নয় যে, শরিয়া আইন আসলে একটা ফালতু আইন, যা দিয়ে রাষ্ট্র চালানো যায় না।
কোরান -হাদিসে, মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলা আছে, তোমরা ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহন করো না। এই নির্দেশ বর্তমানে কয় জন মুসলমানের পক্ষে মানা সম্ভব ? এবং এই নির্দেশ দিয়ে ইসলাম বিশ্বভ্রাতৃত্বের পথে একটা বড় বাধা সৃস্টি করেছে কি না ?
মুহম্মদ বলেছে, ‘যে জাতি তার শাসন ভার নারীর উপর অর্পন করে, সে জাতি ধ্বংস হয়ে যায়।’ এই কথাটা কতটুকু সত্য ? না কি পুরোটাই মিথ্যা ? এ পর্যন্ত বিশ্বের অনেক দেশ মেয়েরা চালিয়েছে, সেগুলো ধ্বংস হয় নি, বরং উন্নতি করেছে। উল্টো পুরুষ শাসিত বেশ ককেটি মুসলিম দেশ ধ্বংস হয়েছে, যেমন ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন। তাছাড়া এই হাদিসটি কয়জন নারী বিশ্বাস করে এবং এই হাদিসের মাধ্যমে নারী জাতিকে হেয় করা হয়েছে কি না ? অন্যদিকে হিন্দু ধর্মে নারীরা দেবীর মতো। বাস্তবেও হিন্দু পরিবারের মেয়েরা যথেষ্ট সম্মান, মর্যাদা ও শ্রদ্ধা পেয়ে থাকে। বর্তমানে পৃথিবীর যে কোনো সভ্য দেশ , মেয়েদের সমান মর্যাদা দিচ্ছে। তাহলে নারীর স্বাধীনতা ও মর্যাদার প্রশ্নে কোন ধর্ম বেশি বাস্তব ? হিন্দু না ইসলাম ?
মুহম্মদ বলেছে, “দুনিয়াতে যার সম্পদ কম, আখেরাতে তার হিসাব সহজ হবে।” বর্তমানের কয়জন মুসলমান এই হাদিস বিশ্বাস করে গরীব থাকতে চায় ?
এভাবে পাতার পর পাতা লিখে প্রমান করা যায়ে যে, ইসলাম আসলে একটা অবাস্তব ধর্ম। কারণ ইসলামের বিধি বিধানের অনেক কিছুই বর্তমানে অচল, যা কোনো প্রকারেই মানা সম্ভব নয়। পক্ষান্তরে হিন্দুধর্মের এমন কোনো বিধি বিধান নেই, যা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না বা একেবারে বাতিল। এসব ঘটনা থেকে যে কোনো সুস্থ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ খুব সহেজই বুঝতে পারে যে ইসলাম প্রকৃতপক্ষেই একটা অবাস্তব থিওরি। বাস্তবের সাথে যার কোনো মিল নেই।
লেখার শুরুতেই মূর্তি পূজাকে আমি প্রতীকী বলেছি, তার একটু ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন।বলা হয় ভগবান রামচন্দ্র, দেবী দুর্গার পূজা করে নিজে যুদ্ধ করে রাবনকে হত্যা করেছিলো। সেরকম আমাদেরকেও দুর্গা বা কালী পূজা করে দুর্গার শক্তি বা কালীর হিংস্রতাকে শরীর ও মনে ধারণ করে মুসলমান নামের অসুরদের দমন করতে হবে। আমরা যদি মনে করি, মা দুর্গা বা মা কালীর পূজা করলাম, আর তারাই আমাদেরকে বিপদ থেকে রক্ষা করবেন, তা হলে ভুল হবে। কারণ, যত শক্তিশালীই বলা হোক, আল্লা যেমন তার প্রিয় ঘর মসজিদকে রক্ষা করার জন্য পৃথিবীতে নেমে আসবে না, তেমনি হিন্দুরা যতই বিপদে পড়ুক, কোনো দেব-দেবী নেমে এসে তাদের বাঁচাবে না। প্রকৃত পক্ষে আল্লা বা দেব-দেবীর কোনো ক্ষমতা নেই। সকল ক্ষমতা মানুষের।
হুনুমানের পূজা করে যদি হুনুমানের মতো শক্তিশালী হতে পারি, রামের পূজা করে যদি তার মতো তীর চালানো শিখতে পারি, কালীর পূজা করে যদি তার মতো হিংস্র হতে পারি, দুর্গার পূজা করে যদি তার মতো ১০টা অস্ত্র চালানো শিখতে পারি, কৃষ্ণের পূজা করে যদি তার মতো সুদক্ষ রাষ্ট্রনায়ক ও পরিচালক হতে পারি, অর্জুন ভীমের আদর্শ সামনে রেখে যদি তাদের মতো বীর যোদ্ধা হতে পারি, তাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে পারবো এবং তাহলেই রক্ষা পাবে হিন্দু সমাজ, জাতি ও ধর্ম। প্রকৃতপক্ষে কোনো দেব-দেবীর মধ্যে কোনো শক্তি নেই, যদি থাকতো, তাহলে মুসলমানরা তো আর মূর্তিগুলো ভাঙতে পারতো না, শক্তি আছে সেই দেব-দেবীর আদর্শের মধ্যে। সেই আদর্শকে কাজে লাগিয়েই আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে হিন্দু ধর্ম, জাতি ও সমাজ। তাহলেই আসবে পূজার সার্থকতা। সকল হিন্দু এই ধারণায় উদ্বুদ্ধ হোক।