আমার আব্বু আমার নাম রেখেছিলেন আয়েশা সুলতানা। আয়েশা নামটা পছন্দ করেছিলেন নবী মুহাম্মদ(সঃ) এর বিবির নাম থেকে। আর আমার আম্মিজান আমাকে ডাকেন আঁখি বলে।কারণ আমিই তার দুটি নয়ন।আমার আব্বা মসজিদের ইমাম,একদম একজন প্রকৃত মুসলমান পুরুষ বলতে যা বুঝায় উনি সেটাই। আমার হুজুর আব্বুর নির্যাতন আর আমার চাচার অত্যাচারে(যেটা আমার পক্ষে ভাষায় বোঝানো সম্ভব না) আমার আম্মি আজ অন্ধ,চোখে দেখতে পারেন না। আমি খুব দুক্ষি।কিছুদিন আগে আমার বোনকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েছে আমার আব্বু চাচা আর চাচাত ভাইরা।তারও আগে আমার আম্মি কে অন্ধ করেছে, আল্লাহর কসম তাদের ছাড়ব না আমি।
আমার হুজুর আব্বুর চার বিবি।এর মধ্যে একজন তার চাচাত বোন, একজন মামাত বোন একজন তার আপন চাচি আর একজন দুরের।সৎ মায়েরা খুব অত্যাচার করে।আব্বু শখ করে নাম রেখেছিলেন আয়েশা প্রিয় নবীর সহবত সঙ্গির নামে, এখন বুঝি ওই নামের ফজিলত।মনে হয় সব মুসলিম মেয়েদের জীবনই ওই আয়েশা বিবির মত হয়। হয় সতীন নিয়েই বেঁচে থাকতে হয়, না হলে রক্তের সম্পর্কে চাচাত ভাইদের শয্যাসঙ্গী হতে হয়,নয়ত চাচাত খালাত ভাইদের হাতে প্রতিনিয়ত শারীরিক মানসিক ভাবে ধর্ষিত হতে হয়।একজন মেয়ে যে মানুষ সেটা মুসলিম সমাজ স্বীকার করে না।তাই শরিয়া আইনে একজন পুরুষের সমান দুজন মহিলা বিবেচিত হন।মেয়ে মানুষ মানেই শুধু সেক্স আর বাচ্চা উৎপাদনের মেশিন মুসলিমদের কাছে।মেশিনটা জাস্ট বস্তায় মুড়ে রেখে দিয়ে ব্যবহার করলেই হয় তাদের কাছে।