তন্তুবণিকদের নাম দেখছি সর্বাগ্রে রয়েছে ছত্রিশ জাতের সমস্ত বণিকদের মধ্যে। বস্তুত বৈদ্য, কায়স্থ, উগ্রক্ষত্রিয়ের পরেই (আসলে উগ্রক্ষত্রিয়ের পরেই মাগধ নামে একটা কাস্ট আছে, কিন্তু সেটা মনে হয় বর্তমানে অস্তিত্বহীন) আসেন তন্তুবণিক, যা দেখলাম। বোঝা যায় বৃহদ্ধর্মপুরাণ রচনার কালে, বাংলার আদি মধ্যযুগে যে বণিকজাতিটি সবথেকে বেশি স্বচ্ছল, এবং সামাজিক মর্যাদার অধিকারী ছিলেন, তাঁরা তন্তুবণিক। এইখানে মনে রাখা দরকার যে পুরো মধ্যযুগ ধরেই বাংলা ছিল পৃথিবীর তাঁতঘর। শেঠ বসাকদের হাত ধরে কলকাতার উত্থান হয়েছিল, বাণিজ্যনগরী সপ্তগ্রামের উত্তরসূরী হিসেবে।
তথাগত রায় একবার সেই লিখেছিলেন, ইংরেজ হুগলির বদলে মহানদীতে নৌকো ভেড়ালেই রেনেসাঁসটা উড়িষ্যায় হত। তখন এক ভদ্রলোক, তিনিও বণিক, দত্ত পদবী, আমার টাইমলাইনে লিখেছিলেন, বাংলাতেই আসতে বাধ্য ছিল ইংরেজ, কারণ বাংলায় টাকা ছিল, আর বাংলার তাঁত ছিল।
সঞ্জীব সান্যালও লিখছেন, সেযুগে প্রধানতম আন্তর্জাতিক পণ্য ছিল টেক্সটাইল। সেই টেক্সটাইলের রাজধানী ছিল এই বাংলার বুকেই। সুতানুটি নাম সেই স্মৃতি বহন করে।
বাঙালি তন্তুবণিকের ইতিহাস রচনার জন্য লিস্টে যত তন্তুবণিক আছেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন, পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শোনা পুরোনো ইতিহাস, কিংবদন্তী, কাহিনী, এগুলো অনুগ্রহ করে শেয়ার করুন। আমি অধ্যাপক মহুয়া লাহিড়ীকে অনুরোধ করেছি, তন্তুবণিকদের ইতিহাস লিখতে, মহুয়া সম্মত হয়েছেন। এইবার আমাদের সকলের কাজ, ওঁকে সাহায্য করা।
#বাঙালির_ছত্রিশ_জাতের_ইতিহাস_চাই। #বাঙালি_তন্তুবণিকের_ইতিহাস_চাই।
জয় গৌড়, জয় বঙ্গ। বাঙালির জয় হোক, বাঙালি বণিকের জয় হোক।