“অত্যচারিত হিন্দু সমাজ” (‘হিন্দুরাজাদের স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম’– আমার পরবর্তী বই এর কিছু ছত্র)
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
হাজার বছরের (তার আগে আমি যাচ্ছি না) আগেকার প্রগতিশীল সনাতনি হিন্দুরা হাজার বছর ধরে (৭১২ সাল থেকে) সমস্ত ভাবে অত্যাচারিত। হিন্দু সমাজ এক পাশবিক শক্তি দ্বারা ধর্ষিত হয়ে চলেছে সেই ৭১২ সাল থেকে এক অপশক্তি, অপসংষ্কৃতি, এক বিদেশী ঔপনিবেশিক শক্তির দ্বারা। ভারত মাতার চোখের জলে ভারত সাগরের জল আজ মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে। হিন্দু সমাজ অবক্ষয়ের শেষ প্রান্তে এসে দাড়িয়েছে??? একে কে বাচাবে????? কোনো বিদেশী শক্তি?????? না , তারা এই ঘোলা জলে মাছ ধরবে। মিষ্টি কথা বলবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুতেই হবে না।
একমাত্র হিন্দু কেই হিন্দুর পাশে দাড়াতে হবে। এক হয়ে ,এক সুরে বলতে হবে , “এই দেশ, এই সমাজ, এই ধর্ম আমাদের ,হিন্দুদের। আজ আমরা জানছি কে,কারা,কি ভাবে আমাদের সর্বনাশ করেছে। না,আর নয়। আমরা ফিরে পেতে চাই আমাদের শিক্ষা দীক্ষা, সনাতনি সমাজ এবং সনাতনি জীবন দর্শন”। এগিয়ে আসতে হবে হিন্দু যুবক যুবতীদের—- এই সমাজ এই দেশ, এই সমাজ তাদের ভবিষ্যত, তাদের সন্তান সন্ততিদের ভবিষ্যত। একে রক্ষা করা এবং লালন পালন করা বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষিত ‘যুব শক্তি’র ।
হিন্দু সমাজের ধ্বংস চায় যেমন বিদেশী অপসংষ্কৃতির জন্ম দাতা ধারক এবং বাহকেরা, ঠিক তেমনি আমাদের এই হিন্দুদের মধ্যেই আছে বিভীষন, জয়চাঁদের মতো মানুষ। এরা হিন্দুর নামে কেঁদে ভাষায় ,আসলে হাত ধরে আছে হিন্দু বিরোধীদের সংগে । এদের চিনতে হবে,জানতে হবে এবং নিষ্ক্রিয় করতে হবে।
আজ আমাদের জানতে হবে কি ভাবে আমাদের পুর্ব পুরুষ রা এর প্রতিরোধ করতে গিয়ে তাদের নিজেদের জীবন দিয়েছেন। কি ভাবে আমাদের মাতা, ভগ্নী রা ( চিতোরের রানী পদ্মীনীর সংগে যে ৩৩ হাজার মাতা ভগ্নী জহর ব্রত নিয়েছিলেন তাদের অতৃপ্ত আত্মার কথা স্মরন করুন) গুনে আত্মাহুতি দিয়েছেন, হাজারে হাজারে বিষ পান করে (জহর ব্রত) ,শুধু মাত্র নিজেদের নারী সম্মান রক্ষা করতে জীবন দিয়ে বলে গেছেন তাদের করুন কাহিনী।
মাত্র একটি বিদেশী শব্দ এবং সেই একটি মাত্র শব্দের প্রভাবে আজ ভারতীয় হিন্দু সমাজ প্রায় নিশ্চিন্ন।
সেই শব্দটি হচ্ছে “জেহাদ”।