এরশাদ আমলে যে বাংলা ক্যালেন্ডার কার্যকর হয় তার সঙ্গে হিন্দুদের ধর্মীয় তিথি নক্ষত্র চাঁদের হিসাবে বড় রকমের গন্ডগোল তৈরি হয়।
এই ক্যালেন্ডার কিন্তু এরশাদ বানায়নি। পাকিস্তান আমলে তৈরি করা ক্যালেন্ডারটা সে জাস্ট কার্যকর করেছিল।
ক্যালেন্ডার সংশোধনের মাস্টার মাইন্ড আইয়ুব খান। ডক্টর মুহাম্মাদ শহিদুল্লাহকে দিয়ে পাকিস্তান আমলে বাংলা ক্যালেন্ডার সংস্করণ করার উদ্দেশ্যই ছিলো পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের সঙ্গে যেন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের উৎসব কেন্দ্রিক ঐক্য বিনষ্ট হয়ে যায়। এবার ২৯ জানুয়ারি সরস্বতী পুজা দেখিয়েছে সরকারি ক্যালেন্ডার একারণেই।
বাংলা ক্যালেন্ডার সংশোধন বা কার্যকর করা সময় হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলার কেউ প্রয়োজনই মনে করেনি। কারণ পাকিস্তান আমল থেকেই হিন্দুরা অলিখিত ভাবে এদেশে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক।
ডিয়ার সোম্বাদিক জ.ই মামুন সাহেব, সরস্বতী পুজার দিনে সিটি নির্বাচন ফেলাটা ছোট কিছু নয়। বাঙালি হিন্দুর ধর্মীয় জীবনে বাংলা ক্যালেন্ডার যতখানি গুরুত্বপূর্ণ ততখানি মুসলমানের জন্য নয়। মুসলমানেরা ধর্ম করে হিজরী ক্যালেন্ডার দিয়ে। সেই বাংলা ক্যালেন্ডার পরিবর্তন ঘটিয়ে বাংলাদেশী হিন্দুকে রাষ্ট্রীয় ক্যালেন্ডার বিমুখ করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। ২৯ তারিখ কেন আমাদের সরকারি ক্যালেন্ডার ভুল করে সরস্বতী পুজা দেখালো? পুজাটা যারা করবে তাদের সঙ্গে কথা বলেছিল সরকারি ছুটি যারা তৈরি করে?
ডিয়ার বুদ্ধিজীবী সমাজ, সিটি নির্বাচনের কেন্দ্র সব স্কুল কলেজে হবে না সত্যি। কিন্তু ইজতেমা চলাকালে কি ঢাকায় ভোট দিতেন? আমরা এই দ্বিচারিতার প্রতিবাদ করছি। আমরা রাষ্ট্রের উদাসিনতার প্রতিবাদ করছি।