“ভারত ভাগের আসল ইতিহাস”—হিন্দুরা আর কতোদিন স্বাধীন থাকতে পারবে??????
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলো। বিজয়ী ব্রিটিশ, আমেরিকা এবং সেই সংগে রাশিয়া।
জার্মানীকে ভাগ করে এক ভাগ রাশিয়ার অধীনে দেওয়া হলো, সেই ভাগে ক্যমুনিষ্ট শাসন হলো।
পৃথিবীর পুর্ব দিকে আমেরিকাই যুদ্ধ বেশী করেছিলো। জাপান আত্মসমর্পন করে আমেরিকার জেনারেল ম্যাকার্থীর কাছে। রাশিয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী ভিয়েতনাম এবং কোরিয়াকে ভাগ করা হলো।
ব্রিটিশের ওপরে দ্বায়িত্ব দেওয়া হলো ইজরায়েল এবং প্যালেষ্টাইন সমস্যার সমাধান করতে। ইরাক, এশিয়া মাইনর (বর্তমান তুরষ্ক) জায়গা গুলি ইংরেজদের প্রভাবাধীন। সমস্ত মুসলিম দেশ গুলি সমগ্র ইজরায়েলি ভুমিটাই চায়। তাহলে ইহুদীরা যাবে কোথায়?? ৩০০০ বছরের ও বেশী সময় ধরে, সেই মোজেজের সময় থেকে, ঐ দেশটা তো ইহুদীদের ” প্রমিজড ল্যান্ড= জিহোভার দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো” ভুমি ছিলো। আরবী (বর্তমান সৌদি) ইসলাম সেই হোমল্যান্ড দখল করে ইহুদীদের ওখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। ইহুদীরা ছড়িয়ে পড়ে সারা দুনিয়ায়। ভারতেও অনেকে এসে বাস করছিলো।
ইহুদীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অনেক অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছিলো “মিত্র শক্তি”কে (আমেরিকা এবং ব্রিটিশ পরিচালিত)। তাই ইহুদীরা চায় একটি জায়গা, যেখানে সব ইহুদীরা ফিরে গিয়ে বসবাস করতে পারে। অন্যায় দাবী কিছুতেই নয় কারন ওই দেশ টি তাদের ই ছিলো, যা কিনা আরবী খলিফা দখল করে।
শুরু হলো, ইহুদী, ব্রিটিশ, ইসলামিক কুট নীতি। ভাগ করো ইজরায়েল। মুসলিমরা (মুসলিম দেশ গুলি) কিছুতেই মানবে না, না সমগ্র ইজরায়েল চাই।
এদিকে জিন্না চায় ভারতীয় মুসলিমদের জন্য “হোম ল্যান্ড”। ঠিক আছে, ইহুদীদের জন্য খন্ডিত ইজরায়েলের এক অংশ হোমল্যান্ড হিসাবে দাও, হিন্দুদের দেশ থেকে ভাগ করে ভারতীয় মুসলিমদের জন্য ‘পাকিস্তান’ নাও। আরে সেই একই তো হলো, এদিকে দাও ওদিকে নাও। এখানে শান্তির ধর্ম আর ওখানের শান্তির ধর্মে তো তফাত নেই কিছু।
তা ভারতে হিন্দুরা ছাড়বে কেনো ??? ওটা তো ওদেরই দেশ। আমরা আরব থেকে গিয়ে দখল করেছিলাম আর আমাদের থেকে তোমরা নিয়ে নিয়েছো। হিন্দুরা তো ভুমি পুত্র। তোমরা এবং আমরা তো দখলদারী শক্তি !!
আরে হিন্দুদের কথা ছাড়ো। ওরা গন্ড মুর্খ। শুধু শান্তি শান্তি করে। কেনো, তোমরা যখন আরব থেকে গিয়ে অতো বড়ো একটি দেশ দখল করেছিলে, কতোজন সৈন্য নিয়ে গিয়েছিলে?? আমরাতো ব্যবসা করতেই গিয়েছিলাম। পেয়ে গেলাম সারা দেশ। কারা তোমাদের আমাদের ওই দেশ টি দখল করতে সর্বোতো ভাবে সাহযোগীতা করেছে?????? ওই হিন্দু গুলোই।
আরে ভারত ভাগাভাগি করতে, হিন্দুদের দেশ ভাগ করতে সাহায্য করার জন্য আমাদের লোক আছে। সেই দক্ষিন আফ্রিকা থেকে, যখন কোনো ই-মেল ছিলো না, ফ্যাক্স ছিলো না, উড়োজাহাজ ছিলো না, জাহাজে যেতে আসতে একমাস লাগতো, স্মার্ট ফোন ছিলো না, হোয়াটস আপ ছিলো না, সেই সময় আমাদের স্টেটসম্যান এবং ওই জাতীয় বেশ কিছু খবরের কাগজ ছিলো। তোমরা জানো না, কিন্তু আমরা তো জানি, সেই আমাদেরই খবরের কাগজে লিখে লিখে এক কাগুজে বাঘ বানিয়ে, তাকে রাতারাতি বিখ্যাত করে দিয়ে হিন্দুদের ঘাড়ের ওপরে চাপিয়ে দিয়েছি সেই কবে থেকে। সে লোকটি কিচ্ছু বলবে না চুপ চাপ থাকবে। সারা ভারতের হিন্দুরা আজ তার কথায় ওঠে বসে। তাই সব হিন্দুই এক বাক্যে মেনে নেবে। কোথাও কোনো অসুবিধা হবে না।
আর একজন তো প্রধান মন্ত্রী হবার জন্য লাফালাফি করছে। যে থাকলে এই সব আমরা, অর্থ্যাত তোমরা এবং আমরা (দুই বৈমাত্রীয় ভাই, তাই না?) করতে পারতাম না, তাকে তো সেই ১৯৪৫ সালের আগে থেকেই এমন কলকব্জা করেছি যে সে কিছুই করতে পারবে না। যাকে প্রধানমন্ত্রীর গদীতে বসাবো সে ওই দুষ্টু, অবাধ্য টাকে বেঁচে থাকতেই মৃত বলে চালিয়ে দেবে। সব ব্যাবস্থা একেবারে পাকা। এবারে তোমরা এই ইহুদীদের জন্য কিছু ছাড়ো, আমরা তোমাদের “পাকিস্তান” নামে এক বিশাল ভুখন্ড দিচ্ছি। সে দেশের একটি জেলাই সারা ইজরায়েলের সমান। ‘পাকিস্তান নিয়ে বসে পড়ো তার পর সারা দেশটাই পাবে। হিন্দুরা ওর এক বর্গফুট ও ধরে রাখতে পারবে না। পাকিস্তান ই হবে তোমাদের “সীমান্ত ঘাটি, ওটাই দরকার। মাত্র ৭০-৭৫ বছর ধৈর্য্য ধরো। তোমাদের থেকে নিয়েছিলাম,আবার তোমাদেরই ফেরত দিচ্ছি।
সামান্য কয়েক বর্গ কিলোমিটার জায়গার বিনিময়ে, অর্থ্যাত ইহুদীদের জন্য “হোম ল্যান্ড=বর্তমান ইজরায়েল নিয়ে, ভারত ভাগ করো। একবার ভারতের এক তৃতীয়াংশের দখল নিতে পারলে “ইসলামিক উম্মা” প্রতিষ্ঠা করতে অসুবিধা হবে না। কারন যুগে যুগে গান্ধীর মতো প্রতারক হিন্দুদের মধ্যে অবশ্যই পাওয়া যাবে। ২০০ বছর ভারত শাসন করে এই টুকু জ্ঞান এবং সেই মতো চামচা বা দালাল অনেক তৈরী করে ফেলেছি। আরে রাশিয়ার সাহায্যে, ওই ভারতেই এক বামপন্থী নামে গোষ্টি তৈরী করেছি, তারাও আমাদের কাগুজে বাঘ কে এবং প্রধানমন্ত্রী পদ লোভী চাটুকারকে সমর্থন করছে।
কি ? বুঝলেন কিছু???? মাত্র কয়েক বর্গ কিলোমিটারের (সেই হিসাব আমার কাছে আছে কিন্তু যেখানে বসে লিখছি সেখানে নেই।পরে বাড়ি গিয়ে জানাবো) বিনিময়ে ভারত ভাগ হলো (কয়েক লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জায়গা পেলো ইসলামিক উম্মা)।
আমরা এখানে ভারতীয় হিন্দুরা ‘অহিংসা’র নামে শান্তি শান্তি মন্ত্র জপে, মানবিকতার বুলি আঊড়ে সেই “মহা কূটনিতীকদের” এবং কিছু দালালের খপ্পরে পড়ে দেশকে বিকিয়ে দিয়ে বগল বাজাতে বাজাতে ১৫ ই আগষ্ট রাতে রেডিও তে কান পাতলাম ,আর শুনলাম ” India’s Tryst with Destiny”.
আহা ! কি মধুর বানী? একেবারে ‘মরমে পশিয়া গেলো”। সেই বানী হিন্দুদের জন্য আজো শেষ হয়নি। কাশ্মীর এবং পশ্চিম বাংলা দিয়ে সেই অসম্পুর্ন কাজ এবারে শুরু হয়েছে। সেই রাষ্ট্র গুলিই সাহায্য করছে যারা সেই সময় এই দিনটির কথা ভেবেই ইহুদীদের ‘প্রাচীন ইজরায়েল’ এবং হিন্দু দের ‘প্রাচীন মাতৃভুমি’ ভাগ করার পরিকল্পনায় সায় দিয়ে ছিলো। আর আমাদের মধ্যের কিছু হিন্দু নামধারী, মিথ্যার বুলি কপচানো রাজনৈতিক নেতা, টিভি,খবরের কাগজের মালিক, ফিল্মী ওয়ালারা, বুদ্ধিজীবি নাম ধারী লেখক লেখিকা, ইতিহাস বিদ সব বিক্রীত হয়ে বিকৃত ভাব ধারা প্রচার করছে। হিন্দুরা আর কতো দিন স্বাধীন থাকবে???