কুতুবমিনার বৃত্তান্তঃ
কুতুবমিনার দিল্লীর মেহেরৌলীতে অবস্থিত । এই মেহেরৌলী শব্দটির উৎপত্তি ‘মিহির ওয়াল ” হতে। মিহির হল সম্রাট বিক্রমাদিতের নবরত্ন সভার এক রত্ন জৌতিরবিদ বরাহমিহির । কুতুবমিনারটি ছিল তাদের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার বা স্তম্ভ , যা মেরুস্তম্ভ নামে পরিচিত ছিল । যাকে আরবী ভাষায ‘কুতুবমিনার ” বলে । এইজন্য এটি কুতুবমিনার নামে পরিচিত । 225 ফুট এই স্তম্ভের নীচে সূর্যের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য জেমিতিক লেখা ছিল যা এখন বিলুপ্ত । মেরুস্তম্ভ এর চার পাশে 27টি মন্দির ছিল । কুতুব উদ্দিন এই মন্দির গুলি ধ্বংস করে। এর পশ্চিমে ছোট একটি টিলার উপর কালিকা দেবীর মন্দিরের ভগ্নাবশেষ এখনও রয়েছে যা ‘ সবুজ কা ঠিকরি” নামে পরিচিত । কুতুবমিনার এর পাশে যে লৌহ স্তম্ভটি সম্রাট চন্দ্র গুপ্ত বিক্রমাদিত (2) বসিয়েছেন তাতে কুতুবমিনারকে ‘ প্রপাংশু বিষ্ণু ধ্বজ” বলা হয়েছে। কুতুবউদ্দিন এই মেরুস্তম্ভ থেকে অনেক দূরে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন ‘ কুতুবুল ইসলাম ” নামে । মেরুস্তম্ভটির সাথে এর আংশিক মিল থাকার জন্য স্তম্ভটিতে তার নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে । কুতুবউদ্দিন এই মেরুস্তম্ভ টি তৈরী করেনি । কুতুবুল ইসলাম মসজিদের দেয়ালের গায়ে একটি পাথরে লেখা আছে ‘ সূর্য মেরু পৃথ্বীঃ যন্ত্রৈঃ মিহিরাবলী যন্ত্রেণ ” ব্রাম্ভি লিপিতে। আবার লৌহ স্তম্ভটিতেও ব্রাম্ভি লিপিতে লেখা আছে । কুতুবউদ্দিন বা আলতাতমাসের কোনো শিলা লিপি নেই ।বরং গিযাসুদ্দিন ঘোরীর একটা শিলালিপি রয়েছে । যেটা সংস্কারের নামে যাবতীয় হিন্দু চিহ্ন বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং কোরানের বাণী উৎকীর্ণ করা হয়েছে । হিন্দু নিধন, ধর্মান্তকরন , ও মন্দির ধ্বংসকারী ( হাসান নিজামীর ‘ তাজ উল মসির”, ও মিনহাজ উদ্দিন সিরাজের ‘তবকৎ ই নাসিরি”) কখনও এইসব স্তম্ভ করতে পারেন না । এছাড়া আর কোন শিল্প কর্ম তিনি করেননি কেন? বরং বরাহমিহির এর পক্ষে সম্ভব ছিল, কারণ তিনি সংস্কৃত ‘অহোরাত্র ” থেকে ‘হোরা” নামে একটি নতুন সময়ের একক সৃষ্টি করে ছিলেন । ইংরেজী শব্দ ‘Hour ” এর উৎপত্তি সেখান থেকে ।
তথ্য সংগ্রহ :
1) ”তাজমহল এক হিন্দু মন্দির ” পি এন ওক
2) ”মিথ্যার আবরণে ” ড রাধেশ্যাম বর্ম্ভচারী
3)”ভারতীয় বিদ্যাভবন” আর সি মজুমদার
4) ”ইতিহাস দর্পণ ” আচার্য বাপু বনকর । 5) ”এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা ” (volume 1.1964) ।
6) ”বরাহ মিহির স্মৃতি গ্রন্থ ” পণ্ডিত কেদারনাথ প্রভাকর সম্পাদিত ।
7) ”শ্রী মিহিরাচাযৃ বংশাবলী গ্রন্থ ” পন্ডিত কমলা প্রসাদ মনি।