একবার এটি প্রতিষ্ঠিত হলে অমুসলিমদের লাথি মেরে বের করে দেয়া হবে।

বাংলাদেশের মোহাম্মদ ইসমাইল নামে ব্যক্তিটি যা বোঝেন, পশ্চিমবঙ্গের কাংলাপক্ষ এর বোদ্ধারা তা বোঝেন না? তারা কি সত্যি এতটা মাথামোটা? নাকি এরা পাঁচ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়? সেইজন্যই কি অনেকে এদেরকে হ্যাংলাপক্ষ বলে? 

মোহাম্মদ ইসমাইল লিখছেন,

অনলাইনে লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশের বিএনপি-জামাতিদের সাথে ভারতের কম্যুনিস্ট ও লিবারেলদের গলায় গলায় খাতির। তাদের সখ্যতার মূল কারণ উভয় পক্ষের মোদী বিরোধিতা। ওদের ভাবখানা এমন যে বাংলাদেশের ইসলামিস্টরা ওদের ভারতের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে! অথচ তাদের জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হবার কোন উদ্যোগ নেই। এসব জনবিরোধী কাজ করে তারা ক্রমাগতভাবে আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের জামাতিরা তাদের বুঝিয়েছে যে তারা ভারত বিরোধী নয়, বিজেপি ও মোদী বিরোধী। কিন্তু ভারতের ঐ আহাম্মকগুলো চিন্তা করে দেখে না যে এতদিন তো বিজেপি ক্ষমতায় ছিল না, তখন কি এই জামাতিগুলো ভারতের পক্ষে ছিল? কেন মনমোহন সিং এর জমানায় উত্তর-পূর্ব ভারতে ১০ ট্রাক চাইনিজ অস্ত্রের চালান পাঠানোর চেষ্টা করেছিল তদানীন্তন বিএনপি-জামাত সরকার? কেন সেসময় পাকিস্তানি আইএসআইকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার সুযোগ দিয়েছিল বিএনপি-জামাত সরকার? এরকম আরও অনেক উদাহরণ তুলে ধরা যাবে। ঐ চক্রটির হিন্দু ও ভারত বিরোধিতা নতুন কিছু নয়। তারা কেবল বিজেপি বিরোধী নয়, তীব্র ভারত বিদ্বেষী। তারা দীর্ঘদিন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি সহ ইন্দিরা গান্ধীর নানান কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছে আর এখন কংগ্রেস ও ভারত প্রেমি বনে গেছে। 

ইদানিং অনলাইনে দেখা যাচ্ছে এই জামাতি চক্রটি বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের ধুয়া তুলে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরাকে ভারত থেকে পৃথক হয়ে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হয়ে ‘বিশাল বাংলা রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার উস্কানি দিচ্ছে। অথচ তারা চিরকাল বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের যুক্তি তুলে ধরেছে। তারা হিন্দু বিদ্বেষী ও বাংলাদেশে সেকুলার নীতি বিরোধী। তারা বাংলা ভাষায় আরবি শব্দের অবাধ প্রবেশ ঘটিয়েছে এবং ‘ইসলামি অনুশাসন’ পালনের অজুহাতে আরব সংস্কৃতি দিয়ে বাংলা সংস্কৃতিকে প্রতিস্থাপন করছে। এই লোকগুলো যখন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের অজুহাতে বিশাল বাংলা প্রতিষ্ঠার কথা বলে তখন হাসি পায়। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলে ভারতের অখণ্ডতা বিনষ্ট করা।

আমার ধারনা, এটি আইএসআই এর প্রজেক্ট। দুঃখজনক হল, ভারতের কমি ও লিবারেলেরা জামাতিদের এই প্রস্তাবে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছে। আজকাল নেটে দেখা যাচ্ছে এসকল ভারতীয়র মাঝে উগ্র বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী চেতনা। অনেকে ভারত থেকে  বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা বলছে, অনেকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অবাঙালিদের বের করে দেয়ার কথা বলছে, অনেকের মাঝে হিন্দির প্রতি বিদ্বেষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু এই বেকুবগুলো বুঝতে পারছে না যে জামাতিগুলো ‘বিশাল বাংলা রাষ্ট্র’ নয়, বংলাস্তান প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। একবার এটি প্রতিষ্ঠিত হলে অমুসলিমদের লাথি মেরে বের করে দেয়া হবে।
————————————-