মুছলিমরা যে কত আহম্মক আসুন তা যুক্তি দিয়ে জেনে নেই। মুছলিমরা কথায় কথায় বলে, শিব নাকি ৬০০০০ টি বিয়ে করেছে, বিভিন্ন দেবতারা দুর্গা, সরস্বতী, কালী এদের ধর্ষণ করেছে। এরা এগুলোর রেফারেন্স চাইলে দিতে পারে না। যাক গে, আমার কথা সেটা না। আমার কথা হলো তারা কি এসব দেবতায় বিশ্বাস করে, বা, এদের কর্মকান্ড? যদি করে, তবে তো ঈশ্বরের দেবতায় বিশ্বাস করা হলো, মানে ঈশ্বরের বিভিন্ন শক্তির কর্মকান্ডকে বিশ্বাস করা, মানে তো ঈশ্বরেই বিশ্বাস করা। তাহলে তো আল্লার অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়, কারন, এই বিশ্বজগতে সৃষ্টিকর্তা বা সর্বশক্তিমান একজনই হতে পারে, দুজন নয়। যেহেতু মুছলমানরা কোরান বিশ্বাস করে, আর কোরানে যেহেতু বলা আছে আল্লা ব্যতীত আর কেউ উপাস্য নয়, কেউ সৃষ্টিকর্তাও নয়। তা মুছলিমরা এটা মানলে তো দেবতা বা, দেবতার কর্মকান্ডকে বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসে না। কারণ মুছলিমদের যুক্তি অনুযায়ী আল্ল্যা থাকলে দেবতারা থাকা সম্ভব নয়। তাহলে তাদের যুক্তি অনুযায়ী যারা নেই, তাদের নামে কুৎসা রটানো মিথ্যাচার নয় কি?
এ থেকে যা বোঝা গেল………!
১) যদি দেবতাদের কর্মকান্ডকে বিশ্বাস করেন, তবে অবশ্যই ঈশ্বর আছে কিন্তু আল্লা তাল্লা নেই।
২) যদি আল্লায় বিশ্বাস করেন তবে দেবতারা নেই এবং তাদের কর্মকান্ডও নেই, সমালোচনা করার সুযোগও নেই, কারন দেবতারাই যদি না থাকে, তবে তাদের কর্মকান্ড আসবে কোথা থেকে!
অতএব, মুছলিমরা হিন্দুদের দেবদেবীর সমালোচনা, কোন যুক্তিতেই করতে পারেন না। যদি করেন তাহলে বলবো আপনারা দুমুখো সাপ, আপনারা আর মুছলিম নেই, কারন একই মুখে বলবেন যে আল্লা আছে ঈশ্বর নেই, আবার বলবেন, দেবতারা এসব করেছে। তার মানে আপনারা আল্লাহ এবং ঈশ্বর দুটোতেই বিশ্বাস করলেন(বলেন নাউজুবিল্লাহ)। তার মানে মুমিনরা ঈশ্বরকে মিথ্যা বলে, আবার তার কর্মকান্ডকে সত্যি বলে সমালোচনা করে, যা কিন্তু পরস্পর বিরোধী বক্তব্য।
এবার আসি হিন্দুরা মুছলমানদের সমালোচনা করতে পারবে কিনা।
হিন্দুরা বলে আল্লা নেই, তাই আল্লার কর্মকান্ডও নেই। অর্থাৎ যে নেই তার সব কর্মকান্ডকে মিথ্যা প্রমান করার চেষ্টা করতেছে হিন্দুরা, যে কারনে কিয়ামতের দিনকে মিথ্যা বলাই যায়, ফেরেস্তা নেই, মরার পরে হুর নেই, অর্থাৎ যেহেতু আল্লাই নেই, তাই এসবও থাকার কথা না। অর্থাৎ মিথ্যাকে মিথ্যাই প্রমান করছি। কিন্তু হিন্দুরা বিশ্বাস করে মুহাম্মদ নামে একজন ছিল, যে হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি, যুদ্ধ এসব করেছে। তিনি কোরান নামক বই লিখেছেন এবং আল্লাহ আছে বলে দাবী করেছেন কিন্তু প্রমান দিতে পারেননি। সুতরাং তিনি যে ছিলেন এবং এসব করেছেন তা সবাই মেনে নিয়েছে যা ঐতিহাসিকভাবেও প্রমানিত। অর্থাৎ সত্যকে সত্যই বলছে হিন্দুরা।
তাহলে দেখা যাচ্ছে হিন্দুরা মুছলমানদের যে সমালোচনা করে তা পরস্পর বিরোধী নয়। আর একটা কথা মুহম্মদ যে ছিল এটা সত্য কিন্তু মুহম্মদ থাকলেই আল্ল্যা থাকবে এটা সত্য নয়। অনেকে বলতে পারেন, ঈশ্বর ও আল্লা দুজনেই আছে, তাহলে কিন্তু সবার কাছে সহজেই অনুমেয় কে আগে আসছে। সেটা অবশ্যই ঈশ্বর, কারন ৫৭০খ্রী. এর পূর্বে কেউ দাবি করেনি আল্ল্যা আছে। আর যেহেতু আল্ল্যা সৃষ্টিকর্তার নাম ধরে পরে আসছে তাই তিনি কিছুই সৃষ্টি করেন নি। সবকিছুই ঈশ্বর অনেক আগেই সৃষ্টি করে রেখেছেন। তবে আল্ল্যাকে সৃষ্টিকর্তা মানবো কেন? তাই বলছি মুসলমানরা তাদের পরস্পর বিরোধী দাবীর কারনেই তারা আহম্মক জাতি কারন তারা আল্ল্যা মানে আবার দেবতাদের অস্তিত্বও বিশ্বাস করে ( প্রমান কল্কি দেবতা)। ভাবুন তাদের কি অবস্থা, এক সাথে কি দুইটি ধর্ম মানা সম্ভব!
(লিখেছেনঃ জোকার নালায়েকের সৎ বাপ রেজাউল মানিক)