পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো একদা বলেছিলেন “হম হাজার সাল ঘাস খায়েঙ্গে লেকিন কাশ্মীর লেকে রহেঙ্গে।” তাঁর পিতা জুলফিকার আলি ভুট্টোর চিন্তা ভাবনাও একই ছিল। বেনজির ভুট্টোকে অবশ্য বেশীদিন ঘাস খেতে হয়নি,২০০৭ সালে পাকিস্তানে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার আগে তাঁকে হত্যা করে লস্কর -ই -ঝাংভির সন্ত্রাসীরা। জেঃ জিয়া -উল -হকের সময়ে তৈরী হওয়া কট্টর সুন্নী জিহাদী সংগঠন লস্কর -ই -ঝাংভি এখন কতল করে পাকিস্তানের শিয়া এবং আহমেদিয়াদের। অনেকদিন আগে ইউটিউবে এক পাকিস্তানী সাংবাদিকের নেওয়া এক লস্কর -ই -ঝাংভি সন্ত্রাসবাদীর ইন্টারভিউ দেখছিলাম। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে সে কাফের বলছিলো কারণ জিন্নাহ শিয়া মুসলমান ছিলেন।
কাশ্মীরি মুসলমান বাবা মায়েদের বেছে নিতে হবে তাঁরা কি চান। তাদের সন্তানরা শাহ ফয়সাল হবে না বুরহান ওয়ানি। তাদের ঠিক করতে হবে তাদের সন্তানেরা জিহাদী জোশে ভারতীয় সেনার দিকে পাথর, গ্রেনেড অথবা বন্দুকের গুলি ছুড়বে, না পড়াশুনা শিখে সমাজে প্রতিষ্টিত হবে। তাদের মনে রাখতে হবে শাহ ফয়সালদের মতো যুবকদের সারা ভারত মাথায় তুলে রাখবে, জিহাদীদের জায়গা হবে কবরে।
ভারত সরকারের কি করা উচিত ?
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা যেটা শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের জন্য প্রযোজ্য সেটি বাতিল করা। ৩৭০ ধারা অনুযায়ি কোন ভারতীয় ব্যক্তি বা, সংস্থা সেখানে কোন জমি কিনতে বা লিজ নিতে পারে না। এই ধারার জন্য ভারতের কোন শিল্পসংস্থা সেখানে শিল্প স্থাপনা করতে পারে না। এটি বাতিল হলে ভারতের বিভিন্ন জায়গার লোক কাশ্মীরে এসে বসবাস করতে পারবে , শিল্পের প্রসার হবে, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার তৈরী হতে পারবে, স্থানীয় লোকদের কর্মসংস্থান হবে সর্বপরি জনসংখ্যা ব্যালান্স হবে। ভারত সরকারের আরো উচিত যে সব কাশ্মীরি পন্ডিত ১৯৯০ থেকে সন্ত্রাসের কারণে ঘর ছাড়া, তাদের ফিরিয়ে আনা, তাদের নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। ৩৭০ ধারার উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের সংস্কৃতিকে রক্ষা করা কিন্তু সেটি সম্পূর্ণ ব্যুমেরাং হয়ে গেছে।
রেজাউল মানিক