* নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত হয়েছে তর্জমা সহ।
*প্রধানমন্ত্রী জেসিন্তা মাথায় ওড়না পরে স্বান্তনা দিতে গেছেন ওই দেশে “সংখ্যালঘু” মুসলিমদের পরিবারকে।
*আগামী সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে নারীরা রাস্তায় নামবেন হিজাব পরে সংখ্যালঘু মুসলিম কমিউনিটির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করতে।
* কিউই প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন তিনি বাকি জীবন ব্রেন্টন টেরেন্টের নাম মুখে নেবেন না, সে সন্ত্রাসী, সে খুনি। তাকে কোনো নামে ডাকা হবে না এবং কিউই আইনে তার সর্বোচ্চ বিচার হবে।
* অস্ট্রেলিয়ার এক মুসলিম বিদ্বেষী উজবুক সিনেটর মুসলিম মাইগ্রেন্টদের আসতে দিয়েই যত ঝামেলা হয়েছে ঘোষণা দেয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ১৭ বছরের শ্বেতাঙ্গ বালক তাকে ডিম পঁচানি দিয়েছে।
* অমুসলিমরা বৃত্তাকারে মসজিদ ঘিরে পাহারায় থেকে মুসল্লী দের নামাজ পড়তে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সহ অন্য অনেক দেশে।
সারা মুসলিম উম্মাহর সাথে সাথে বাংলাদেশের মুখেও নিউজিল্যান্ড আর জেসিন্তার জয় জয়কার! এতো বড় একটা ম্যাসকারের পরেও সমগ্র মুসলিম বিশ্ব এই উদারতায় মুগধ হয়ে শোক কে শক্তিতে পরিণত করেছে।
পাঠক, লেখাটা আবার পড়েন।
এবারে পড়ার সময় মনের পর্দায় একটু কল্পনা করে নিন সংখ্যালঘুদের উপরে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ের বর্বরোচিত হামলা হবার পরের দৃশ্যপট। কল্পনায় জেসিন্টার বদলে খালেদা, হাসিনা যেটা ইচ্ছা বসিয়ে নিন …
কল্পনা করুন
* জাতীয় সংসদে একজন পুরোহিত শ্রী ভগবৎ গীতা থেকে ছত্র পাঠ করছেন, চোখ বন্ধ করে সাংসদরা শুনছেন সেই বাণী
* আমাদের যেকোনো একজন প্রধানমন্ত্রী হাতে ধুপকাঠি আর পুজোর উপকরণ নিয়ে শেষকৃত্যে গিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর
* বাংলাদেশের আপামর জনগণ ঢাকের শব্দে অন্যায়ের প্রতিবাদ করছেন, একাত্মতা ঘোষণা করেছেন শোকের সাথে
* মন্দির পাহারা দিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা, পূজা করছেন ভিতরে অন্য ধর্মাবলম্বী
এরপর এদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে কি কি পুরস্কার দিতো তা কল্পনা করতে করতে শিউরে উঠছেন কিনা জানান!
হায়রে মুসলমান ডবল স্ট্যান্ডার্ড! হায়রে চরিত্র!
Copied from Farina Mahmud’s Post.