ভারতীয়

হংকংয়ের মানুষ এখনও ভারতীয়দের ঘৃণা করে কেন? -দুর্মর

হংকংয়ের মানুষ এখনও ভারতীয়দের ঘৃণা করে কেন?  অমৃতসর এর দিকে স্বর্ণমন্দির এক্সপ্রেস ট্রেন তার গতিতে ছুটছিল… রিজার্ভেশন কোচে টিকেট চেকার এসে সবার কাছে আইডি প্রুফ চাইলো…

দুই জন বলেন আমাদের কোন আইডি প্রুফ নাই, আমরা ৩০ শতাংশ গরীবের মধ্যে, যাদের কোন কাগজপত্র নাই…!!! টিকেট চেকার জিজ্ঞেস করলো, “তো টিকেট কিভাবে বানালেন! লোকটি বলল “স্যার, এটা ভারতবর্ষ, এখানে সব হয়! 

টিকেট চেকার বললো “আইডি প্রুফ দেখাতে হবে, নইলে আর ট্রেনে যেতে পারবেন না ! কিন্তু তারা দুই জন চেকারে সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করে দিল।

তাদের এই কথা কাটাকাটি এক পর্যয় ট্রেনে কিছু সেকুলার, শহুরে নকশাল এবং ছদ্মবেশি জিহাদি জড়ো হয়ে গেল। তাদের দুই জনের সাথে মিলে ঐ চেকা বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ করল যে এই টিকিট চেকার সাম্প্রদায়িক।

টিকেট চেকার ভেবেছিল বাকি যাত্রীরা আমাকে সাপোর্ট করবে, কিন্তু বাকিরা খাওয়া, কথা, মোবাইল আর ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত ছিল! টিকেট চেকার একা পড়ে গেল, সে আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ ওই কামরা থেকে বেরিয়ে গেল।

সকাল ৬ টায় টিকেট চেকারে কাছে লোকজন এসে অভিযোগ করছে যে আমাদের মোবাইল, পার্স, এবং ব্যাগ হারিয়ে গেছে। টিকিট চেকার মোড় বদলে সত্যার্থ প্রকাশক ‘আর্য’ বইয়ের পাতা উল্টে বললেন।

তিনি আর বলেন, এখন শুধু মোবাইল, পার্স আর ব্যাগ উধাও, কিন্তু এর আগে কৈলাস, কাশ্মীর, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, বার্মা, শ্রীলঙ্কাও উধাও হয়ে গেছে। সে খবর কি রাখেন, আর তোমার কবে সুধারবে? Arya_nahi_bane হবে, সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন তোরাও পৃথিবী থেকে উধাও হয়ে যাবে।

এখনো সময় আছে যদি তুমি নিজেকে এই হারিয়ে যাওয়া থেকে খুঁজে পেতে চাও, তাহলে আর্য শ্রেষ্ঠ হও, সংগঠিত থাকো এবং দুষ্টদের সাথে লড়াই করো।

আর যদি সেটা করতে পার মোবাইল, পার্স ও যাত্রীদের ব্যাগ শুধু নয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, বার্মা, কৈলাস, কাশ্মীরের পুনর্মিলন হবে। আসুন সবাই মিলে আর্যত্ব গ্রহণ করি এবং ক্রুণভান্ত বিশ্বমরিয়ম সংকল্প পূর্ণ করি।

হংকংয়ের মানুষ এখনও ভারতীয়দের ঘৃণা করে কেন? 

এক ভারতীয় ভদ্রলোক হংকংয়ে প্রায় এক বছর কাটিয়ে অনেকের সাথে বন্ধুত্ব করলেন, কিন্তু তারপরও তিনি অনুভব করলেন যে সেখানকার মানুষ তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিল, কোন বন্ধু কখনও বাড়িতে চা খেতে ডাকলেও পানি।

তারা এই ব্যাপারটা নিয়ে সে খুব ভাবল  তারপর অবশেষে তার একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে জিজ্ঞেস করল বিষয়টি নিয়ে। তবে প্রথমে ঐ ভদ্র লোক কিছু বলতে চাইছিল না, খুব চাপাচাপির পর ভদ্র লোকটি যা জানালেন, তা শুনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সেই ভারতীয় মহান ব্যক্তিরা। 

হংকং এর বন্ধু জিজ্ঞেস করলো ” ভারতকে কতজন ব্রিটিশ ২০০ বছর শাসন করেছিল? ভারতীয় মহানুভবতা বলেছেন যে প্রায় ১০ থেকে ২০ হাজার  ছিল”। তখন হংকং এর ঐ বন্ধু আবার প্রশ্ন করল “তাহলে ৩২ কোটি মানুষের উপর অত্যাচার কারা করেছে, ২০০ বছর রাজত্ব চালানোর জন্য? 

তারা তো আপনার আপনজন ছিল তাই না? জেনারেল ডায়ার বলেছিল চালাও গুলি ১৩০০ নিরস্ত্র মানুষের উপর যারা গুলি চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে কেউ ব্রিটিশ সেনাবাহিনী সেখানে ছিল না।

কেন একজনও বন্দুকধারী পিছনে ফিরে জেনারেল ডায়ারকে হত্যা করতে পারল না? তারপর ঐ হংকং বন্ধু ভারতীয় মহাপুরুষকে জিজ্ঞাসা করলেন বলুনতো কত মোঘল ভারতে এসে কত বছর ভারত শাসন করে ভারতকে দাস বানিয়ে রেখেছিল

এবং আপনজনদের ধর্মান্তরিত করে মুসলিম বানিয়ে আপনার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছিল? তারা টাকার লোভে আপনজনের উপর অত্যাচার শুরু করেছিল, আপনজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিল। সেখানে কত জন মোঘল ছিল?

সেদিন কিছু টাকার জন্য আপনজন শতাব্দী ধরে আপনজনদের হত্যা করছে। এই স্বার্থপর প্রতারক, স্বার্থপর, অমানুষিকতা, অন্য ভাইয়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা,  এর জন্য আমরা ভারতীয় মানুষদের তীব্র ঘৃণা করি।যতদূর সম্ভব আমরা ভারতীয়দের নিয়ে চিন্তা করি না।

তিনি বলেন যখন ব্রিটিশরা আমাদের দেশে হংকং এ এসেছিল তখন একজন ব্যক্তিও তাদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়নি কারণ তিনি তার নিজের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবেন না। এই হল ভারতীয়দের দুমুখো চরিত্র, তারা না ভেবেই সম্পূর্ণ বিক্রি হতে প্রস্তুত। এই কারনেই আমরা হংকং বাসি ভারতকে ঘৃন্ন করি।

আজও ভারতে তাই চলছে, বিরোধী হোক আর অন্য কোন ইস্যু হোক, দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জাতীয় স্বার্থকে আপনারা সবসময় দ্বিতীয় স্থান দেন। আপনার জন্য আমি এবং আমার পরিবার আগে থাকি সমাজ এবং দেশ ঘুল্লায় যাই। এই হলো আপনাদের নীতি। 

ব্যাপারটা তিতা হলেও সত্য।।

আর পড়ুন…..