চক্রব্যুহে বাঙ্গালী হিন্দু, বিপদ আর কতো কাছে এলে ঘুম ভাংগবে? পানামার স্যামুয়েল নরিয়েগা কে প্রয়োজন হয়েছিলো পানামা ক্যানালের ওপর আধিপত্য স্থাপন করতে।
ইজিপ্টের (মিশর) সব মিলিটারী ডিক্টেটরকে তৈরী করা হয়েছে সুয়েজ ক্যানালের ওপরে আধিপত্য বজায় রাখার জন্য।
সাদাম হোসেনকে প্রয়োজন হয়েছিলো ইরানকে contain করার জন্য। বিন লাদেনকে প্রয়োজন হয়েছিলো আফগানিস্তানে তালিবান এবং মোল্লা ওমর কে বানিয়ে রাশিয়ার সংগে যুদ্ধ করার জন্য।
সেই যুদ্ধের আসল প্রয়োজন ছিলো Central Asia র তেল এবং তার সাপ্লাই। ISIS তৈরী হয়েছে মধ্য এশিয়ায় গন্ডোগোল পাকিয়ে রাখার জন্য (তেল এবং যুদ্ধাস্ত্র বিক্রির জন্য)।
জিন্নাকে প্রয়োজন হয়েছিলো পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য। পাকিস্তান কে এবং তার সব মিলিটারী ডিক্টেটরকে দরকার ভারত কে contain করার জন্য।
দেশ ভাগ পরবর্তি ভারত যাতে কোনোদিন মাথা তুলে না দাড়াতে পারে তার জন্য তৈরী করা হয়েছিলো নেহেরু-গান্ধী জোটকে, ভারতকে হাতের মুঠোয় রাখার জন্য সুদুর ইতালী থেকে বিষ কন্যাকে পাঠানো হয়েছে বহুদিন আগে, গন্তান্ত্রিক ভারতকে ব’কলমে শাসন করার জন্য।
মোদীর নেতৃত্ত্বে কোনো ক্রমেই যাতে ভারত আবার মাথা তুলে না দাড়াতে পারে তার জন্য বাংলাদেশ কে চাই।
বংগোপসাগরে যে অফুরন্ত তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে তার ওপরে কত্তৃত্ত্ব বজায় রাখতে চাই বাংলাদেশে জামাত সরকার (হাসিনা বড্ড বেশী ভারত ঘেষা, এটা কোনো মাতব্বরের পছন্দ নয়)।
আন্দামান দ্বীপ পুঞ্জের নীচের দিকে ১০ ডিগ্রী চ্যানেল আছে, যেখান দিয়ে পশ্চিমি দেশের সব জাহাজ যাতায়াত করে, আর তার কতৃত্ব ভারতের হাতে।
তাই বঙ্গোপসাগরের ওপরে ঘাটি চাই। আন্দামানে জামাতি উগ্রপন্থীদের ঘাটী বানাতে চাই পশ্চিম বাংলা,
যেখানে ওরা এসে থাকতে পারে আর পাসপোর্ট জোগাড় করে আন্দামানে গিয়ে থাকতে পারে (বিদেশীরা আন্দামানে ২১ দিনের বেশী থাকতে পারে না,তাই ভারতীয় জামাতী চাই)।
সারা বিশ্ব আমরা ডমিনেট করবো তাই সব জায়গায় এক একটি দানব চাই। এটাই তো দস্তুর। তাই চলছে।
Rothchild পরিবারের অফুরন্ত অর্থ ফোর্ড ফাউন্ডেশনের হাত ঘুরে দিল্লীর মুখ্য মন্ত্রীর গদি অবধি পৌছে গেছে। সেই অর্থের সংগে যুক্ত হয়েছে প্রট্রো ডলার।
বন্যার জলের মতো আসছে আমাদের পশ্চিম বঙ্গে। বহু নেতাদের কেনা হয়ে গেছে। এখন চাই সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে,মারামারি দাঙ্গা তৈরী করে মোদীকে সরাও নইলে সব প্লান ভেস্তে যাবে।
হিন্দুরা যাতে এক হয়ে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে সে ব্যবস্থা সব পাকা।
আজ্ঞানী পশ্চিম বংগ বাসী হিন্দুরা কোনদিন ভাবনা চিন্তা করার যুযোগ পাবে না, কারন তাদের ভাববার শক্তি অবলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে ৩৪ বছরে।
গত ৭ বছরে তাদের ‘পাগোল’ বানানো শেষ। এবারে এদের নিয়ে যা খুশি তাই করো।
বাঙ্গাল-ঘটি, বামপন্থি-দক্ষিন পন্থি, জাতপাত-ব্রাহ্মন্যবাদ , দলিত-উচ্চবর্ন ইত্যাদি ইত্যদি অসংখ্য বাদ সৃষ্টি করার কাজ শেষ।
প্রচার মাধ্যমের নায়ক নায়িকাদের , নেতা নেত্রীদের কেনা শেষ। এই সব কাজ করে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা। ৫০ বছরের প্লান করা থাকে। একটা নয় দুটো তিনটে।
বাংগালীরা, যারা এক সময় বিদ্যা বুদ্ধি, প্রগতিশীলতার প্রতীক ছিলো,আজ তারা কোথায় হারিয়ে গেছে?? যতো দেখি, ততোই ভাবি কোথায় হারিয়ে গেলো সেই মনের জোর আর কেনোই বা গেলো?
বিশিষ্ট বাঙ্গালী নেতা, বুদ্ধিজিবী দের স্মৃতি কি সব লোপ পেয়ে গেলো?? নেতাজীর নাম করে রাতের ঘুম বন্ধ করতে যারা পারে তারা কেনো নেতাজীর মতো অকুতো ভয়ে রাস্তায় নামতে পারে না।
রাস্তায় নামতে কি সব সময় দল লাগে?????? কোন দল বাচাবে এই বাঙ্গালী কে??? নিজের দলে কে এলো আর কে গেলো, কেউ একজন এসে আমাদের উদ্দার করে দেবে, এটাই এখন ভাবনা।
কিন্তু সেটা হবে কি? কোনো একজন এসে বাঙ্গালীদের বাচিয়ে দেবেন???? তাই যেনো হয়।
বিদেশীদের চক্রান্তকে (সি আই এ, আই এস আই, জামাত) ছুড়ে ফেলে নিজেদের মান সম্মান, বেচে থাকার জন্য এই রাজ্যটা ধরে না রাখতে পারলে কোথায় যাবে এরা তা নিয়ে কেনো ভাবছে না বা ভাবলেও দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষের মতো প্রতিবাদ করছে না ???? বিপদ আর কতো কাছে এলে ঘুম ভাংগবে??? ভেবে পাই না।
আমরা তাই চক্র ব্যুহে ফেসে গেছি, আর তার জন্য দ্বায়ী আমাদেরই নেতাদের অবিমৃষ্যকারিতা।
“চক্রব্যুহে বাঙ্গালী হিন্দু”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
আরো পড়ুন…