কুতুব মিনারের কাছে মসজিদটি 27টি মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক কে.কে. মোহাম্মদের বড় দাবি ।
রাম মন্দিরের ইতিহাসের প্রমাণ আবিষ্কারকারী ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ কে.কে মোহাম্মদ দাবি করেছেন যে দিল্লির কুতুব মিনারের কাছে কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদটি 27টি মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, দিল্লিতে অবস্থিত কুতুব মিনারের কাছেও অনেক মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। যার পাশেই ছিল গণেশ মন্দির। সরকার নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, কুতুব মিনারের কাছে একটি নয়, অনেক গণেশ মন্দির ছিল। এটি পৃথ্বীরাজ চৌহানের রাজধানী ছিল। তিনি বলেন, কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ নির্মাণের জন্য সেখানে প্রায় ২৭টি মন্দির সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদটি মন্দির ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা পাথর উপর তৈরি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই স্থানে আরবিতে লেখা শিলালিপিতেও এর উল্লেখ রয়েছে। লেখা আছে ২৭টি মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য।
Check video | Noted #archaeologist KK Mohammed claims Quwwat-ul-Islam Mosque near #QutubMinar was built on ruins of 27 temples #Delhi pic.twitter.com/8X61fJZsCZ
— Paras Bisht (@ParasBisht15) April 19, 2022
কে.কে মোহাম্মদ বলেছেন যে কুতুব মিনার শুধু ভারতেই নির্মিত হয়নি, এর আগে এটি সমরখন্দ ও গুভরাতেও নির্মিত হয়েছিল। আমি আপনাকে বলি যে কে.কে. মোহাম্মদ ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের প্রাক্তন আঞ্চলিক পরিচালকও ছিলেন।
তিনিই প্রথম জানতে পারেন বাবরি মসজিদের নিচে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। তার গবেষণা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল 1990 সালে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সিদ্ধান্তে কে.কে. মোহাম্মদের গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে তার গবেষণা এই সিদ্ধান্তের প্রধান ভিত্তি হয়ে উঠেছে।
আর পড়ুন…..
-
দিল্লি দাঙ্গার খলনায়ক কে? দিল্লির দাঙ্গাবাজরা এখন ‘পুষ্প’ হতে চায়?
- সুইডেনে দাঙ্গা ‘আল্লাহু আকবর’ চিৎকার দিয়ে মুসলিম জনতার, অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোঁড়ে অনেকে আহত: কোরআন পোড়ানোর পর অনেক শহরে দাঙ্গা
- জাকির নায়েকের মিথ্যাচার: ইসলামের নবী মুহাম্মদই কি কল্কি অবতার?
- পাকিস্তান কেন আফগানিস্তানের উপর বিমান হামলা চালিয়ে ৪০ জন মুসলমানকে হত্যা করল?