মিথ্যাচার

মিথ্যাচার: রবীন্দ্রনাথের নোবেল, নজরুল এবং নীল আর্মস্ট্রং সম্পর্কে মুসলমানদের মিথ্যা প্রচারণার।

মিথ্যাচার: রবীন্দ্রনাথের নোবেল, নজরুল এবং নীল আর্মস্ট্রং সম্পর্কে মুসলমানদের মিথ্যা প্রচারণার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম তারিখ বাংলায় ২৫ বৈশাখ, ১২৬৮; ইংরেজি হিসেবে এই তারিখ ৭ মে। পশ্চিমবঙ্গে বা ভারতে এই ৭ মে তারিখকেই কবিগুরুর জন্ম দিন হিসেবেই মানা হয়।

কিন্তু বাংলাদেশে, গায়ের জোরে সংস্কার করা ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী ২৫ বৈশাখ এখন ৮ মে। তাই বাংলাদেশে এখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন ৭ মে এর পরিবর্তে এক দিন পিছিয়ে ৮ মে।

যে মুসলমান জাতির একটা পঞ্জিকা লেখার ক্ষমতা নেই, গ্রহ নক্ষত্রের আবর্তন সম্পর্কে যাদের বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই, তারা করেছে ক্যালেন্ডার সংস্কার! ফলেযা হওয়ার তাই হয়েছে, পহেলা বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের মতো বাঙ্গালির প্রধান অনুষ্ঠান ও উৎসবগুলো একদিন আগে পিছে চলে গেছে।

কিন্তু এর পেছনে যে একটি সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র আছে, সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না, বা অনেকেই এ বিষয়টি হয়তো কখনো ধারণাই করতে পারেন নি। সেই সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রটি হলো – ভারতের, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের কালচার থেকে বাংলাদেশের হিন্দুদের এবং উদার মানসিকতা সম্পন্ন বাংলাদেশি মুসলমানদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা।

বিষয়টি এমন, একই দিনে যদি দুই দেশে কোনো অনুষ্ঠান পালন করা হয় তাহলে দুই দেশের জনগনের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক বন্ধন স্থাপিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের সাথে যদি বাংলাদেশের জনগনের এ ধরণের কোনো সাংস্কৃতিক বন্ধন স্থাপিত হয়, তাহলে বাংলাদেশের হিন্দুরা তো হিন্দুই থেকে যাবে, তাদেরকে আস্তে আস্তে মুসলমানবানানোর যে প্রক্রিয়া তা তো ব্যাহত হবে; শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের উদারপন্থী মুসলমানরাও আস্তে আস্তে হিন্দু কালচারের দিকে এগিয়ে যাবে।

এমনটা যাতে ঘটতে না পারে, সেজন্যই প্ল্যান করে ক্যালেণ্ডার সংস্কারের নামে এই তারিখের অদল বদল করা হয়, যাতে দুই বাংলার প্রধান অনুষ্ঠানগুলো একই দিনে না পড়ে। তাছাড়া, অযথা এই ক্যালেণ্ডার সংস্কারের কি কোনো দরকার ছিলো ? এই ক্যালেন্ডার সংস্কারের ফলে কি বাংলাদেশ ও বাংলা সংস্কৃতির কোনো উপকারবা উন্নতি হয়েছে ?

মিথ্যাচারবাংলাদেশের মুসলমানরা তো বাংলা তারিখ ব্যবহারই করে না, যেটুকু ব্যবহার করে তা হিন্দুরা। সেজন্যই প্ল্যান করে ক্যালেণ্ডার সংস্কারের নামে হিন্দুদেরকে একটা বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের যে কোনো পঞ্জিকা খুললেই দেখবেন, দুটো বাংলা তারিখ; একটা বাংলাদেশ অনুযায়ী, আর একটা অরিজিনাল।

বাংলাদেশের হিন্দুদেরকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের থেকে কালচারের ব্যাপারে মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে রাখা ছাড়া এর আসলে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি ? এতক্ষণ যা বললাম, সেটা এই লেখার মূল বিষয় নয়, এরপর যা বলবো, সেটাই হলো এই লেখার মূল প্রতিপাদ্য ।

প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময়, আমার এক মুসলিম ক্লাসমেটের কাছ থেকে একটি গল্প শুনেছিলাম। গল্পটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে। ও আমাকে বলেছিলো, আসলে নোবেল পাইতো কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নয়।

আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, তাহলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিভাবে নোবেল পুরস্কার পেলো ? এর জবাবে সে বলেছিলো, বিদেশিরা নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য বই লিখতে বলেছে। সেজন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নজরুল ইসলাম দুজনেই বই লিখতে শুরু করেছে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলো খুব চালাক। সে বুঝতে পেরেছিলো, নজরুল যদি বই লিখে জমা দিতে পারে, তাহলে সে ই নোবেল পাবে, রবীন্দ্রনাথ আর পাবে না।

এই জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তার ভাতিজি প্রমীলাকে নজরুলের পেছনে লাগিয়ে দেয়, যাতে নজরুল ঐ বই লিখে শেষ করতে না পারে। প্রমীলার প্রেমের ফাঁদে পড়ে নজরুল আর বই লিখে শেষ করতে পারে না, সেই সুযোগে রবীন্দ্রনাথ বই লিখে জমা দেয় এবং নোবেল পুরস্কার পেয়ে যায়। পরে নজরুল ভেবে দেখে যে, প্রমীলার জন্যই তার নোবেল পুরস্কারটা হাত ছাড়া হয়ে গেছে, এই রাগে সে প্রমীলাকেই বিয়ে করে ফেলে।

যেহেতু এটা বাজারে প্রচলিত আছে যে, প্রমীলা হিন্দু এবং রবীন্দ্রনাথও হিন্দু কবি এবং একটি হিন্দু মেয়েকে নজরুল বিয়ে করেছিলো, সেহেতু অল্পজ্ঞানী কারো পক্ষে, এই কাহিনী সম্পূর্ণ মিথ্যে হলেও অবিশ্বাস করা ছিলো কঠিন । আমিও আমার পুরো স্কুল জীবনে তা অবিশ্বাস করতে পারি নি। শেষ পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিকে এসে, এক বাংলা স্যারের সৌজন্যে, এই গল্পের প্রককৃত সত্য আমার কাছে ধরা পড়ে।

উপরে যে গল্পটি বললাম, সেই গল্পটি সম্পূর্ণ মিথ্যা হলেও, বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে তা এত বেশি প্রচলিত যে, ক্লাস থ্রি ফোরের একটি মুসলিম বাচ্চাও তা বড়দের কাছ থেকে শুনে তা জেনে ফেলে এবং স্কুলে এসে তার হিন্দু ক্লাসমেটদের কাছে সেই গল্পটি বলে রবীন্দ্রনাথকে ছোট করার সাথে সাথে হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীকে মানসিক চাপে ফেলে ।

এই প্রচারণা কতটা ব্যাপক ও বিপজ্জনক হলে, ইন্টারমিডিয়েটের ক্লাসে, একজন বাংলা শিক্ষককে তা তথ্য প্রমান সহ ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয় যে এটা একটা মিথ্যা গল্প, সেটা একবার উপলব্ধি করুন। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে পড়েছি, তারা কমনসেন্স থেকেই বুঝি যে, এটা একটা বানোয়াট গল্প। কিন্তু এই তথ্যটা তো আমরা ছোট বেলা প্রাইমারি বা হাইস্কুলে থাকতে জানতে পারি নি।

ফলে মুসলমানদের কাছে আমরা ছোট হয়েছি, তাদের মিথ্যা প্রচারণার জবাব আমরা দিতে পারি নি, ফলে জয় হয়েছে মুসলমানদের আর পরাজয় হয়েছে হিন্দুদের। এই প্রসেস এখনও চলছে, এখনও আপনার বাড়ির ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদেরকে তাদের মুসলিম ক্লাসমেটরা এই গল্প বলে তাদেরকে মানসিক চাপে ফেলছে, বিশ্বাস না হলে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।

কিন্তু এরকম একটি মিথ্যাচার গল্পের প্রচারণার কী প্রয়োজন ছিলো মুসলিম সমাজের ? মুসলমানদের মাথায় কি এই বুদ্ধিটুকুও ছিলো না, যে এই গল্পের ফাঁকি একদিন সবাই ধরে ফেলবে, তখন মুসলমান সমাজকে সবাই মিথ্যেবাদী সমাজ বলবে ? আমার ধারণা হীনম্মন্যতা থেকেই মুসলমানরা এই গল্পটি বাজারে চালু করে।

কারণ, হিন্দুদের একজন রবীন্দ্রনাথ আছে, যিনি নাকি বিশ্ব কবি, মুসলমানদের তো সেই রকম কেউ নেই । আর মুসললিম সমাজের পক্ষে সেরকম কাউকে বানানোও সম্ভব নয়। এখন রবীন্দ্রনাথকে কোনোভাবে টেনে নামিয়ে যদি নজরুলকে বড় করা যায়, এটাই হলো এই ধরণের গল্প বাজারে চালু করার মুসলমানদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

মিথ্যাচার: মুসলিম সমাজ কর্তৃক বহুলভাবে প্রচারিত আরেকটি মিথ্যাচার গল্প হলো, আমেরিকার নীল আর্মস্ট্রং এর চন্দ্র অভিযান শেষে পৃথিবীতে ফিরে এসে ইসলাম গ্রহন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, নবী আঙ্গুলের ইশারায় যে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছিলো, যে কথা কোরানে লেখা আছে, নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়ে চাঁদের সেই জোড়া দেখতে পেয়েছিলো এবং সে চাঁদে আজানও শুনতে পেয়েছিলো, এজন্যই সে পৃথিবীতে এসে ইসলামকেই একমাত্র সত্য ধর্ম বলে মনে করে মুসলমান হয়ে যায়।

এর গল্পের কাউন্টার জবাব আপনি কিভাবে দেবেন ? প্রকৃত সত্য জানতে হলে তো নীল আর্মস্ট্রং এর সাথে কথা বলতে হবে, সেটা কি আপনার বা আমার পক্ষে সম্ভব ? আরেকটা তথ্য এই গল্পের মধ্যেই ছিলো গল্পটাকে মিথ্যে বলে প্রমান করার যে, চাঁদে তো বাতাস নেই, বাতাস ছাড়া আজান সে শুনলো কিভাবে ?

কিন্তু বিজ্ঞানের এই সাধারণ তথ্যটিও সাধারণ লোক কয়জন জানে ? ফলে এই প্রচারণার ইসলামিক উদ্দেশ্য বেশ ভালো ভাবেই সফল হয়েছে, এটা শুনে যদি একজন অমুসলিমও ধোকায় পড়ে ইসলাম গ্রহণ করে থাকে, তাতেও ইসলামের লাভ হয়েছে। কারণ, সত্য জানার পর সে তো আর প্রাণের ভয়ে ইসলাম ত্যাগ করতে পারে নি।

কারণ, ইসলাম মতে, যেকোনো কারণেই হোক, ইসলাম ত্যাগের ফল তো নিশ্চিত মৃত্যু। কেননা, ইসলাম ত্যাগীদেরকে হত্যা করতে জঙ্গীরা সবসময় চাপাতি নিয়ে রেডি হয়ে আছে। একারণেই ইসলামকে বলে ইঁদুরের ফাঁদ, যাতে ঢুকলেই আর বের হওয়া যায় না।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পাওয়ার মুসলমানী মিথ্যা গল্পের মতোন নীল আর্মস্ট্রং এর এই গল্পটাও ছোট বেলা থেকেই শুনে শুনে বড় আমি হয়েছি, আর এর ফলে ইসলাম ই যে প্রকৃত সত্য ধর্ম তা আস্তে আস্তে মনে গাঁথতে শুরু করেছিলো। আমার মতো অবস্থা যে বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম অমুসলিমের সেটা মনে হয় আর ব্যাখ্যা করে বলতে হবে না।

এসব মিথ্যা প্রচারণার উদ্দেশ্য একটাই, আর তাহলো যেকোনো ভাবে ইসলামকে মানুষের সামনে বড়, মহান ও একমাত্র সত্য ধর্ম হিসেবে তুলে ধরাএবং এই ফাঁদে অমুসলিমদেরকে আটকে ফেলা।

যা হোক, পরে যখন নিজস্ব জ্ঞান বুদ্ধিতেই বুঝতে পারলাম যে, আসলে এই গল্পগুলো ম্যিথা, তখন ভেবেছিলাম, এগুলো মনে হয় শুধু বাঙ্গালি মুসলমানরাই প্রচার করে। কিন্তু নেট ব্যবহার করা শুরু করার পর আমার তো আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা।

রবীন্দ্র-নজরুলের মিথ্যা গল্প বাংলার মুসলমান কর্তৃক এবং বাংলা এলাকায় প্রচারিত হলেওনীল আর্মস্ট্রং এর ইসলাম গ্রহণের মিথ্যা কাহিনী এবং তার কারণ আন্তজার্তিকভাবে সকল মুসলিম দেশে প্রচারিত। এই প্রচারণা এতটাই গতি পেয়েছিলো যে, নীল আর্মস্ট্রং এর উদ্ধৃতি দিয়ে স্বয়ং আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, যারা নীলকে চাঁদে পাঠিয়েছিলো, তাদেরকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলতে হয়েছিলো যে, নীলের ইসলাম গ্রহণের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

 নীল আর্মস্ট্রং
১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে যাত্রা

এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি আর সে চাঁদে গিয়ে চাঁদের কোনো জোড়ার দাগ বা কোনো আজানের ধ্বনিও শুনে নি। কিন্তু নাসার এই বিবৃতির কথাই বা কয়জন জানে বা শুনেছে ? নাসা তো সব কাজ ফেলে মুসলমানদের এই মিথ্যা প্রচারণার জবাব আর সারা বছর ধরে দেবে না। কিন্তু মুসলমানদের কাজই তো হলো মিথ্যা প্রচার করে মানুষকে ধোকা দিয়ে ইসলাম গ্রহন করানো, আর তাতেই নাকি তাদের পতিতালয় ৭২টি  বেহেশত প্রাপ্তি নিশ্চিত, তাই তারা মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে, আর তার শিকার হচ্ছে সাধারণ সহজ সরল মানুষ।

নোবেল প্রসঙ্গে রবীন্দ্র-নজরুলের গল্পটা যে মিথ্যা, সেটা আপনি কিভাবে বুঝবেন বা প্রমান করবেন ? কয়েকটি তথ্য দিচ্ছি, একটু মিলিয়ে নিন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান ১৯১৩ সালে। এই কাব্যের কবিতাগুলি তিনি লিখেছিলেন ১৯০৮-০৯ সালে। পরে ১৯১০সালে কোলকাতায় এটি প্রথম বই আকারে বের হয়;

এরপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বেশির ভাগ কবিতাগুলোকে সহজ ভাষায় ইংরেজিতে অনুবাদ করেন ব্রাদার জেমস ও জো উইন্টার নামে দুজন ইংরেজ ভদ্রলোক। এই সমগ্র অনুবাদ ১৯১২ সালের শেষের দিকে লন্ডনের ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক ‍”সং অফারিংস” নামে প্রকাশিত হলে এটি সুইডেনের নোবেল কমিটির নজরে আসে এবং ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

এখন তাকান নজরুলের জীবনীর দিকে। নজরুলের জন্ম ১৮৯৯ সালে, রবীন্দ্রনাথ যখন গীতাঞ্জলির জন্য ১৯০৮-০৯ সালে কবিতা লিখা শুরু করে তখন নজরুলের বয়স মাত্র ৯/১০, সম্ভবত নজরুলের পড়াশোনায় তখন হাতে খড়ি হচ্ছিলো। আর যেটা জানা যায়, নজরুল প্রথম কবিতা লিখে ১৪ বছর বয়সে, তাহলে সেটা দাঁড়ায় ১৯১৩ সালে, যে বছর রবীন্দ্রনাথ অলরেডি নোবেল পুরস্কার পেয়ে গেছে।

আর বেশি কিছু ভাবতে হবে না, শুধু এতটুকুই ভাবুন আর তুলনা করুন, তাহলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তির বিষয়ে মুসলমানদের কর্তৃক প্রচারিত নজরুল ও প্রমীলার গল্প যে কতটা সত্য তা বুঝতে পারবেন।

আমাদের বড়রা কখনো এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবে নি, তারা কখনো আমাদেরকে বলে নি যে, এই গল্পগুলো, যেগুলো মুসলমানরা খুব গর্বের সাথে বলে, সেগুলো আসলে মিথ্যা, সত্য ঘটনা হলো এই; তাই আমরা ঐসব গল্পের ফাঁকি কখনো ধরতে পারি নি এবং মুসলমানদের মিথ্যা প্রচারণার জবাব না দিতে পেরে ছোট হয়েছি ।

কিন্তু আমাদের ছোটদেরকে যাতে এই সমস্যার মুখোমুখি না হতে হয় এবং তারা যেন মিথ্যা প্রচারণার যোগ্য জবাব দিয়ে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, সেজন্য আমাদের সবার উচিত এইসব ব্যাপারে আগ বাড়িয়ে, আমাদের ছোটদেরকে শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের মনোবল বাড়িয়ে তুলে মুসলমানদের তথ্য জিহাদের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য তাদেরকে যথাযোগ্য করে তোলা।

লেখক- আকাশ সিকদার-ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়

আর পড়ুন…