জমজমের পানি

জমজমের পানি নিয়ে সব রকমের অবাস্তব অবৈজ্ঞানিক কুসংস্কার সম্পর্কে জবাব।।

জমজমের পানি নিয়ে সব রকমের অবাস্তব অবৈজ্ঞানিক কুসংস্কার সম্পর্কে জবাব। জমজমের পানি নিয়ে প্রচলিত সমস্ত গল্প অবৈজ্ঞানিক অবাস্তব হাস্যকর। যখন এসব গল্প ‘কালের কন্ঠ’ ‘প্রথম আলোর’ মত পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তখন অপবিজ্ঞান কুসংস্কার বিস্তার লাভ করে অতিসহজে।

এসব গল্পের মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে জাপানী বিজ্ঞানী ‘মাসারু এমোটোর’ নামে কে একজন দাবী করেছেন ‘সাধারণ পানির ১০০০ ফোঁটার সাথে যদি জমজমের পানির এক ফোঁটা মেশানো হয়, তাহলে সেই মিশ্রণও জমজমের পানির মত বিশুদ্ধ হয়ে যায়’।
কথিত জাপানী বিজ্ঞানীর কথায় পরে আসছি। প্রথমে জমজমের পানির বিশুদ্ধতার কথা বলে নেই। জমজমের পানিতে যদি কোন রোগ জীবাণু না থাকে তাহলে বাজারে থাকা বোতলজাত পানিও সমান রোগ জীবাণুমুক্ত।

আর এটা করতে পানি বাজারজাত কোম্পানির কোন অলৌকিক ক্ষমতার প্রয়োজন হয়নি। জমজমের পানিতে যাতে রোগ জীবাণু বাসা না বাধে তার জন্য সৌদি সরকার জমজমের পানি সংরক্ষণ ও সরবরাহ কমিটি প্রতি ঘন্টায় কূপের পানি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। 

সৌদি ভূতাত্ত্বিক জরিপের সভাপতি জুহাইর নাওয়াব বৃটিশ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, কূপের পানি যাতে জীবাণুতে আক্রান্ত না হয় তার জন্য ফরাসি টেকনোলজিকে তারা ব্যবহার করে থাকেন। সৌদি আরবের জিওলজিক্যাল সার্ভের “জমজম স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার” জমজমের পানি লবরোটরিতে পরীক্ষার জন্য প্রতিদিন কূপের পানির তিনটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

কূপের পানিতে ব্যাকটরিয়া মারা জন্য অতিবেগুনী রশ্মি প্রয়োগ করা হয়। এতসব বৈজ্ঞানি উপায়ের মাধ্যমে জমমজের পানি স্টেইনলেস স্টীলের পাইপের মাধ্যমে গ্যালনের মধ্যে প্রবেশ করে। 

অর্থ্যাৎ কোন রকম অলৌকিক বা আল্লার রহমতের হাতে সব কিছু ছেড়ে বসে নেই সৌদি কর্তৃপক্ষ। লন্ডন কিংবা নিউয়র্কে এক বোতল পানি কিনে যে বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করেন আপনি, জমজমের পানি আপনাকে সেই নিশ্চয়তাও দিতে পারে না।

কারণ গ্যালনে পানি প্রবেশের পর এই পানি হাজি সাহেবরা নিজ উদ্যোগে নিজ দেশে নিয়া যাবার পর পানিতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমন পতিরোধের কোন ব্যবস্থা থাকে না। সেই পানি পান করে রোগ জীবাণু ছড়ানো তাই অস্বাভাবিক কিছু নয়। 

২০১১ সালে বিবিসি লন্ডন তাদের এক প্রতিবেদনে দাবী করেছিলো, লন্ডনে আমদানি হয়ে আসা জমজমের পানিতে ক্ষতিকর আর্সেনিক পাওয়া গেছে যা দীর্ঘকালীন খেলে একজন মানুষের ক্যান্সার হতে পারে। সৌদি সরকার এই দাবী নাকচ করে দিয়ে তখন বলেছিলো, জমজমের পানিকে রোগ-জীবাণু মুক্ত রাখতে কঠর বৈজ্ঞানিক ধাপ পার করে আসে হয়।

এছাড়া সৌদি সরকার জমমজের পানি রফতানি করে না। তাই সৌদিতে জমজমের কূপের পানি ছাড়া অন্যত্র পাওয়া জমজমের পানির বিশুদ্ধতার দায় জমজম কর্তৃপক্ষ নিবে না। 

বুঝাই যাচ্ছে কোথাও একটা ঘপলা আছে। আর্সেসিক থাকার কথা কিন্তু সৌদি সরকার অস্বীকার করেনি। বলেছে অন্যত্র পাওয়া জমজমের পানির দায় তারা নিবে না। বিসিসি লন্ডনের জমজমের পানি নিয়ে নিউজের লিংক পাবেন এখানে 

জমজমের পানি নিয়ে মুসলিমদের দ্বিতীয় অবৈজ্ঞানিক ও কুসংস্কার হচ্ছে এই কূপের পানি কোনদিন শেষ হয় না। প্রতিদিন গ্যালন গ্যালন পানি উত্তলন করার পর মাত্র ১১ মিনিটে কূপের পানি ভর্তি হয়ে যায়। এটাকে মুসলিমরা তাদের আল্লার অস্তিত্ব থাকার পক্ষে একটা প্রমাণ ও ইসলাম সত্য ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে। 

প্রকৃত তথ্য হচ্ছে জমজমের কূপে পানি থাকা খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। এ ধরণের কূপ ভূগর্ভস্থ পানির যে স্তর থাকে উত্তোলন করে থাকে তা সাধারণত অল্প সময়েই আবার পানিতে পূর্ণ হয়ে যায়। ভূগর্ভে কখনো কখনো খনিজ সম্পদের ন্যায় পানির খনি পাওয়া যায়। জমজমের মত প্রাচীন কূপগুলোতে এখনো পানি তোলা অস্বাভাবিক কোন ঘটনা নয় কারণ ভূগর্ভস্থ পানির স্তর এখানে প্রতিনিয়ত পূরণ করে দেয়। তারপরও যে কোন কূপের পানি তোলার একটা লিমিট আছে। 

জমজমের মত ‘পবিত্র’ আখ্যা পাওয়া কূপের পানি চাহিদার চাইতে যে বেশি উত্তলন করা হবে সেটা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশের কালের কন্ঠ নামের একটি কাগজে ফলাও করে প্রকাশ করেছে একদিনে ৬৯০ মিলিয়ন লিটার পানি উত্তোলন করার পর মাত্র ১১ মিনিট বিরতিতে আবার আগের মত পানির স্তর পূর্ণ হয়ে যায়। কালের কন্ঠ লিখেছে বিজ্ঞানীরা এটা দেখে অবাক হয়ে গেছে কিভাবে তা সম্ভব। বাংলাদেশের কাগজগুলো প্রায় সবাই অপবিজ্ঞান ও ইসলামের নামে মিথ্যাচার নিয়মিত প্রকাশ করে থাকে। 

জমজম নিয়ে কথিত এই বিজ্ঞানীদের অবাক করার গল্প সেই মিথ্যাচারের অংশ। প্রকৃত সত্য হচ্ছে জমজমের কূপ থেকে চাইলেই বেশি পানি উত্তলন করা যায় না। সৌদি জিওলজিক্যাল সার্ভে দেয়া তথ্য মতে বছরে ৫০০,০০০ ঘনমিটার পানি উত্তোলন করা সম্ভব জমজম কূপ থেকে। জমজম কূপের অত্যাধুনিক পাম্প মেশিন পানির একটা নির্দিষ্ট লেবেল পার হবার পর পাম্প বন্ধ করে দেয়া হয়। দিন রাত এই কূপকে ঘিরে ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান ও বিজ্ঞানীদের একটা টিম সৌদি অর্থায়নে নিয়োজিত থাকে। 

এমনি এমনি কোন কুদরতিতে এই কূপ পানি অবাধে দিয়ে যায় না। পানি উত্তোলন সম্পর্কে আরো জানুন।
জমজম পানি নিয়ে তৃতীয় অপপ্রচার ও কুসংস্কার হচ্ছে, এই পানি ‘পৃথিবীর একমাত্র বিশুদ্ধ পানি’। বিশুদ্ধ পানি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ভুল ধারণা থাকায় এই তথ্যটি দিয়ে সবাইকে বোকা বানানো সম্ভব হচ্ছে। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে পৃথিবীতে ‘বিশুদ্ধ’ পানি বলতে কিছু হয় না।

কেবলমাত্র ল্যাবরোটরিতে বিজ্ঞানীরাই বিশুদ্ধ পানি তৈরি করতে পারেন। নইলে পানিতে নানা রকম খনিজ ও রাসায়নিক মিশ্রন থাকবেই। যে কারণে বিশুদ্ধ পানি বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। 

ভূগর্ভস্থ পানিতে এই সত্যটা আরো বেশি করে পর্যজ্য। মুমিনরা দাবী করে জমজমের পানিতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আছে যার দরূণ এই পানি খেলে খুধা তৃষ্ণা আর লাগে না। পানিতে এ দুটো খনিজ থাকাই পানির বিশুদ্ধকে নষ্ট করে। সৌদি জিওলজিক্যাল সার্ভে দেয়া তথ্য মতে, জমজমের পানিতে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, বাইকার্বনেট, ক্লোরাইট, ফ্লোরাইট, নাইট্রেট, সালফেট ইত্যাদি পাওয়া গেছে। জমজমের পানিতে স্বল্পমাত্রায় আর্সেনিক পাওয়া যাবার কথাও এই সার্ভেই জানিয়েছিলো। জানিয়ে রাখা ভালো আর্সেনিক একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পাননিতে থাকা স্বাভাবিক যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। 

কিন্তু ‘বিশুদ্ধ পানি’ কেমন করে এতগুলো বিভিন্নমাত্রার খনিজ ও রাসায়নিক পদার্থ থাকার পর বলা চলে?এবার কথিত জাপানী বিজ্ঞানিকের আবিস্কার ‘জমজমের পানির এক ফোঁটা সাধারণ পানির ১০০০ ফোঁটার সঙ্গে মেশালে পুরো মিশ্রণটাই বিশুদ্ধ হয়ে যায়’ সম্পর্কে কিছু বলা উচিত। এই আজগুবি তথ্যটা সাধারণ মানুষের পানি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে একটা শুভংকের ফাঁকি। এই কথিত বিজ্ঞানির আরো একটা আবিস্কার হিসেবে দাবী করা হয়, ‘জমজমের পানির উপাদানগুলোকে পরিবর্তন বা রূপান্তর করা যায় না’। খুবই হাস্যকর দাবী তাই না? 

কারণ উপরে লন্ডনে রফতানি করা জমজমের পানিতে উচ্চমাত্রার আর্সেনিক পাওয়ার পর সৌদি কর্তৃপক্ষ বলেছিলো সৌদি আরব থেকে জমজমের পানি উত্তোলন করার পর ভিন্ন কোন স্থানে পাওয়া জমজমের পানিতে কোন কিছুর অস্তিত্বকে তারা স্বীকার করেন না। অর্থ্যাৎ অন্যত্র এই পানিতে কিছু মিশ্রণ বা জীবাণু আক্রমনের দায় তাদের নয়। এতেই তো প্রমাণ হচ্ছে জমজমের পানির উপাদনগুলো পরিবর্তন ঘটছে! তাছাড়া সৌদি জিওলজিক্যাল সার্ভে নিজেই জানিয়েছে তারা পানির ব্যাকটেরিয়া মারতে অতিবেগুনি রশ্মি প্রয়োগ করে থাকে। এটা কি জমজমের উপাদানকে পরির্তন বা রূপান্তর করছে না?

জমজমের পানি নিয়ে সাধারণ মুসলমানের কাছে কিছু ‘হাতেনাতে’ প্রমাণ আছে যার দরূণ আমাদের সমস্ত আলোচনাকে তারা এককথায় নাকচ করে দিতে পারে। যেমন জমজমের পানি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পেট ব্যথা কমে গেছে। মাথা ধরা, চোখের অসুখ, জ্ঞান ফিরে পাওয়া, ডাইবেটিস কমে যাওয়া, রক্তচাপ থেকে মুক্ত সহ জমজমের পানি খেলে অন্য কিছু খাওয়া লাগে না। মনে হয় সমস্ত ক্ষুধা তৃষ্ণা সব চলে গেছে ইত্যাদি। এসব প্রমাণপত্র সাধারণ মানুষ ‘নিজের চোখে দেখে’ বা নিজের জীবনে প্রয়োগ করে তারা উপরের সমস্ত প্রমাণপত্রকে বাতিল করে দিতে চাইবে জানি। 

তাই এবার সাধারণ মানুষের এইসব প্রমাণ সম্পর্কে দুটো কথা বলতে চাই। বিজ্ঞানীরা অন্তত দেড়শো উপসর্গকে চিহ্নিত করেছেন যেগুলো সাময়িকভাবে উপশম হবে যদি মানুষ গভীর বিশ্বাস নিয়ে কোন পানিপরা, তেলপরা, পাথর পরিধান করে তাহলে মানুষ তার ব্যথা, অস্বস্তি, স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যাগুলো থেকে সাময়িকভাবে উপশম লাভ করতে পারে। এটা রোগীর মনস্তাত্বিকভাবে শারীরিক অশান্তিকে মুক্তি দেয়। কিন্তু রোগী কখনই সুস্থ হয় না। আর এই সাময়িক মুক্তি লাভ থেকেই বিভিন্ন বাবাজি, মাতাজি, পীর অলি,  ঝড়ে বক মারে। 

জমজমের পানি সম্পর্কে একজন মুসলিম আজন্ম যে ভক্তি ও শ্রদ্ধা নিয়ে বড় হয়, সে যখন শুনে এটার পানি খেলে কোন ক্ষুধা লাগে না, যখন সে এটার সামনে আসে আর ‘পবিত্র পানি’ পান করে তখন তার মধ্যে মনস্তাত্বিক ক্ষরণ ঘটতে থাকে যখন সে সত্যিই মনে করতে থাকে সে এই পানি পান করে এমন এক স্বাদ লাভ করেছে, এমন এক পবিত্র অনুভূতি তার হয়েছে যা পৃথিবীর আর কোন পানি খেয়ে তার এমনটা হয়নি। এই পানি পান করে তার কোন খিদেও লাগেনি। 

কিন্তু এই লোককেই যদি কেবলমাত্র জমজমের পানি খেয়ে বেঁচে থাকতে বলা হয় সে কি বাঁচতে পারবে? যারা জমজমের পানি সম্পর্কে এমন দাবী করে থাকেন তারা কেউ কি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে পারবেন? জমজমের পানি খেলে যদি খিদে না পায় এবং বিশেষ উপকার হয়ে থাকে তাহলে কেবলমাত্র জমজমের পানি খেয়ে কোন মানুষের তো বেঁচে থাকা সম্ভব। সৌদিতে হজ করতে গিয়ে এক মাস কেউ শুধু জমজমের পানি খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে দেখতে পারেন!

এবার কথিত জাপানী বিজ্ঞানীকে নিয়ে দুটো কথা বলে লেখাটা শেষ করি। প্রথম কথা হচ্ছে এই ‘মাসারু এমোটোর’ নামের জাপানি কোন বিজ্ঞানী নয়। মরিস বুকাইলি যেমন একজন চিকিৎসক ছিলেন মাত্র, কোন বিজ্ঞানী ছিলেন না। পশ্চিমা অমুসলিম অসৎ চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞানীকে ভাড়া করা হয় ইসলাম সম্পর্কে পজেটিভ কথা বলার জন্য। ইয়েমেনের শেখ আব্দুল মাজিদ জিদানী নামের একজন ধনকুবের সৌদি আরবে গড়ে তুলেন ‘Commission on Scientific Signs in the Qur’an and Sunnah’ নামের একটি সংস্থা। 

এই সংস্থা কোটি কোটি ডলার খরচ করে সেমিনার করে ইসলাম সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলিয়ে নেয় বিজ্ঞানী চিকিৎসকদের মুখ থেকে। এসবের জন্য আগতদের মোটা অংকের ডলার, ফাইফ স্টার হোটেলে রেখে দৈনিক উচ্চহারে হাতখরচ দিয়ে পশ্চিমা সাদা চামড়ার অমুসলিম বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, অধ্যাপক, জ্যোতিবিদ, ঐতিহাসিকদের ভাড়া করে আনা হয়। মরিস বুকাইলিকে সেভাবেই চুক্তি করে তাকে দিয়ে বই লেখানো হয়েছিলো। বুকাইলি ছিলেন সৌদি রাজদরবারের একজন বেতনভুক্ত চিকিৎসক। তিনি মোটেই বিজ্ঞানী নন। এই লোক বাইবেলে অসংখ্য ভুল পেয়েছেন এবং কুরআনে বিস্ময়রক বিজ্ঞানের সন্ধান পেয়েছেন যা তার বইতে তিনি লিখেছেন। 

তবু কেন ইসলাম গ্রহণ করেনি খ্রিস্টান ধর্ম ছেড়ে তা সত্যিই বিস্ময়কর! জাপানী বিজ্ঞানী এরকমই একজন ভাড়াখাটা কামলা ছাড়া আর কিছু নয়। তার কথিত জমজমের গবেষণার তথ্যগুলো যে কোন একটা বাচ্চাই খন্ডন করতে পারার কথা। কিন্তু মানুষ ধর্মের প্রশ্নে এতখানি অন্ধ থাকে যে খুব শিক্ষিত মানুষও যুক্তি কান্ডজ্ঞান হারিয়ে বসে। জমজম নিয়ে মুসলমানরা তেমনই কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। সেই জ্ঞানহীনতা যাতে আরো ব্যাপকহারে বাড়তে থাকে তার জন্য বাংলাদেশের প্রথম আলো, কালের কন্ঠের মত শীর্ষ কাগজগুলো প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছে…।

আমাদের পাশে থাকতে একটি লাইক দিয়ে রাখুন।-ধন্যবাদ

আর পড়ুন…..