উপনিষদ

উপনিষদের তিন চরিত্র – যাজ্ঞবল্ক্য, গার্গী ও মৈত্রেয়ী।-দুর্মর

উপনিষদের তিন চরিত্র – যাজ্ঞবল্ক্য, গার্গী ও মৈত্রেয়ী। বিদেহরাজ জনক রাজার সভাগৃহে আজ তিল ধারণের জায়গা নেই।। রাজা বহুদক্ষিণা যজ্ঞ শেষে আজ ব্রাহ্মণদের দান করবেন। কুরু-পাঞ্চালের সমস্ত বিদ্বান জ্ঞানীগুণী ব্রাহ্মণরা এখানে সমবেত। আজকের সেরা দান দশ দশ পাদ সোনা দিয়ে বাঁধানো শিং-ওয়ালা এক হাজার উত্তম গরু। রাজা ঘোষণা করলেন, ব্রাহ্মণা ভগবন্তো যো বো ব্রহ্মিষ্ঠঃ স এতা উদজাতামিতি – উপস্থিত ব্রাহ্মণদের মধ্যে যিনি সম্পূর্ণ ব্রহ্মজ্ঞানী, তিনি নিয়ে যান এই গরুগুলি।

ব্রাহ্মণগণ সকলে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছেন। কে নিজেকে ব্রহ্মিষ্ঠ বলে দাবী করবেন? কে নিয়ে যাবেন এই দক্ষিণা।

এমন সময় উঠে দাঁড়ালেন ব্রহ্মতেজদীপ্ত এক ঋষি। শান্ত গলায়, তাঁর প্রিয় শিষ্যকে বললেন, সৌম্য সামশ্রবঃ, আমার আশ্রমে নিয়ে যাও এই গরুগুলি। হিমালয়ের মতো আত্মবিশ্বাস, কিন্তু কণ্ঠস্বরে কি আশ্চর্য প্রশান্তি! রাজার কাছে কোনো প্রার্থনা, অনুমতি বা উপস্থিত ব্রাহ্মণগণকে তর্কযুদ্ধে আহ্বান, এসব কিছুই নয়।

সোজা শিষ্যকে বললেন, গরুগুলি আশ্রমে নিয়ে যাও। ব্রাহ্মণগণ রেগে উঠলেন, যাজ্ঞবল্ক্য, আপনি কি নিজেকে শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মবিদ মনে করেন। যাজ্ঞবল্ক্য হেসে সরস উত্তর দিলেন, নমঃ বয়ং ব্রহ্মিষ্ঠায় কুর্মো, গোকামা এব বয়ং স্মঃ ইতি – বাপুরা, ব্রহ্মিষ্ঠকে নমস্কার করি, কিন্তু এই গরুগুলি আমার বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু বামুনের দল এই রসিকতায় মজলেন না।

উপনিষদ
ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য চেয়ে দেখলেন প্রশ্নকর্তাকে।

তাঁরা এত সহজে এতগুলি সোনা বাঁধানো শিংওয়ালা গরু ছেড়ে দেবেন! শুরু হল কঠিন প্রশ্নোত্তরের পালা। প্রথমে ঋষি অশ্বল প্রশ্ন করলেন, হে যাজ্ঞবল্ক্য সমস্ত কিছুই যখন মৃত্যুর অধীন, তাহলে মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তির উপায় কি? যাজ্ঞবল্ক্য উত্তর দিলেন হোতা নামক ঋত্বিক, অগ্নি ও বাক্য দ্বারা, কারণ বাক্যই যজ্ঞের হোতা, বাক্যই অগ্নি, বাক্যই মুক্তির উপায়।

প্রশ্নোত্তর চলতে লাগল। অশ্বলের পর আর্তভাগ, ভুজ্যু, উষস্ত, কহোল প্রভৃতি একের পর এক ঋষিরা কঠিন কঠিন সব প্রশ্ন করতে লাগলেন যাজ্ঞবল্ক্যকে এবং যাজ্ঞবল্ক্যও অনায়াসে সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়ে চললেন ও প্রশ্নকর্তাদের মুখগুলি একের পর এক ম্লান হয়ে যেতে লাগল।

এবার প্রশ্নকর্তা একজন নতুন মানুষ। সকলে তাঁকে চেনেন, তাঁর অসামান্য ধীশক্তির জন্য। তিনি প্রশ্ন করলেন, ঋষিবর, আমাকে বলুন, যদি সবকিছু জলে ওতপ্রোতভাবে অধিষ্ঠিত আছে, তাহলে এই জল কিসে অধিষ্ঠিত?

ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য চেয়ে দেখলেন প্রশ্নকর্তাকে। তেজদীপ্ত ব্রহ্মবাদিনী এক মহিলা, বচক্লুর কন্যা গার্গী বাচক্লবী। উত্তর দিলেন,
– হে গার্গি, বায়ুতে
– বায়ু কিসে ওতপ্রোত?
– অন্তরীক্ষলোকে।
– অন্তরীক্ষলোক কিসে ওতপ্রোত?
– গন্ধর্বলোকে।
এইভাবে বিভিন্ন স্তর পেরিয়ে, গন্ধর্বলোক, আদিত্যলোক, চন্দ্রলোক, দেবলোক সমস্ত কিছু পেরিয়ে ব্রহ্মলোক। গার্গী প্রশ্ন করলেন, ব্রহ্মলোক পেরিয়ে কোন লোক?
যাজ্ঞবল্ক্য থমকে গেলেন। তাঁর বিজয়রথ প্রথম বারের মতো গতিহীন হল। সত্যিই তো ব্রহ্মলোক কিসে অধিষ্ঠিত? এমন প্রশ্ন তো কেউ করে নি!

কিন্তু হেরে গেলে তো চলবে না। সভাশুদ্ধু আর কেউ বুঝুক বা না বুঝুক ব্রহ্মবাদিনী গার্গী বুঝেছেন যাজ্ঞবল্ক্যর অবস্থা। মরিয়া হয়ে যাজ্ঞবল্ক্য উত্তর দিলেন, মা অতিপ্রাক্ষীঃ – অতিরিক্ত প্রশ্ন কোরো না গার্গী। যে দেবতাদের বিষয়ে বেশী প্রশ্ন করা উচিত নয় তুমি সেই বিষয়ে অতিপ্রশ্ন করছ। যাজ্ঞবল্ক্য সোজাসুজি সাবধানবাণী শোনালেন, আর প্রশ্ন করলে তোমার মাথা খসে পড়বে, গার্গী।

সেই যুগের অনেক মহিলা বেদজ্ঞ হতেন। উপবীত ধারণ করতেন, যজ্ঞে অংশ নিতেন। অন্যান্য পণ্ডিতদের সাথে শাস্ত্র নিয়ে সমানতালে তর্ক-বিতর্ক করতেন। এঁদের বলা হত ব্রহ্মবাদিনী। এঁরা রাজা-প্রজা-পণ্ডিত আপামরচণ্ডাল মানুষের কাছে প্রচুর সম্মান পেতেন। গার্গী ছিলেন এই রকম একজন। তিনি সম্ভবত চিরকুমারী ছিলেন। গার্গীর সম্বন্ধে বেশি কিছু জানা যায় না। তাঁর চরিত্রের যে বিশেষত্বগুলি বৃহদারণ্যক উপনিষদে ফুটে উঠেছে – তিনি অসামান্য মেধাবী, আত্মবিশ্বাসী, নির্ভীক ও পূজ্যপাদে সম্মান জানাতে সদা প্রস্তুত।

প্রথম দফায় প্রশ্নোত্তর শেষ হলে গার্গী দ্বিতীয় দফায় যাজ্ঞবল্ক্যকে প্রশ্ন করতে উঠলেন। কিন্তু সভার সমস্ত পণ্ডিতদের প্রথমেই বলে দিলেন, দ্বৌ প্রশ্নৌ প্রক্ষ্যামি, তৌ চেন্মে বক্ষ্যতি, ন জাতু যুষ্মাকং কশ্চিদ্‌ ব্রহ্মোদ্যং জেতেতি – দুটি প্রশ্ন করব, এই দুই প্রশ্নের উত্তর যদি ইনি দিতে পারেন, তাহলে আপনারা কেউ ব্রহ্মবিদ্যায় পরাস্ত করতে পারবেন না। নিজের ধীশক্তির ওপর কি অসাধারণ বিশ্বাস, সভার তাবড় তাবড় পণ্ডিতদের মুখের ওপর বলে দিলেন আপনারা যতই প্রশ্ন করুন না কেন, আমার প্রশ্নই শেষ প্রশ্ন। তার পরে আর প্রশ্ন নিরর্থক। এবার প্রশ্ন করার পদ্ধতিটা দেখুন।

গার্গী জিজ্ঞাসা করলেন, হে যাজ্ঞবল্ক্য, আমি কাশী বা বিদেহ দেশের বীরপুত্রের মতো ধনুকে শত্রু সন্তাপকারী দুই প্রশ্ন শর হাতে নিয়ে এসেছি। আমার প্রথম প্রশ্ন, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল কিসে অধিষ্ঠিত?

যাজ্ঞবল্ক্য বললেন, এই সমস্তই আকাশে বা অনন্তে প্রতিষ্ঠিত। সবাই তো এখানেই থেমে যায়, আকাশ বা অনন্তের ওপরে আর কি থাকতে পারে? কিন্তু গার্গী জানতেন এখানেই শেষ নয়। আবার প্রশ্ন করলেন, আকাশ কিসে অধিষ্ঠিত?

তার উত্তরে যাজ্ঞবল্ক্য শোনালেন, সমস্ত ব্রহ্মাণ্ড যাতে অধিষ্ঠিত, সেই অবাঙ্‌মানসগোচর অক্ষর ব্রহ্মের কথা। যার প্রশাসনে প্রতি নিমেষ, সারা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড চলমান। এঁকে দেখা, শোনা বা জানা না গেলেও ইনি সমস্ত দেখতে পান, শুনতে পান ও জানতে পারেন। নান্যদতোহস্তি দ্রষ্টূ, নান্যদতোহস্তি বিজ্ঞাত্রেতাস্মিন্ – ইনি ভিন্ন কেউ দ্রষ্টা নেই, শ্রোতা নেই, বিজ্ঞাতা নেই।

এখানে যাজ্ঞবল্ক্যর উত্তর সমস্ত জ্ঞানের সীমানা অতিক্রম করে গেল। এই জ্ঞানই প্রকৃত অনন্ত বা ভূমা, যা ছান্দোগ্য উপনিষদের সপ্তম অধ্যায়ে উল্লেখিত। যাজ্ঞবল্ক্য যে প্রকৃত ব্রহ্মজ্ঞানের অধিকারী, এক প্রকৃষ্ট জ্ঞানযোগী, এই প্রশ্নের উত্তরে তা স্পষ্ট বোঝা গেল। এই উত্তর শোনার পর গার্গী সমবেত বিদ্বজনকে বললেন হে ব্রাহ্মণগণ, আপনারা যদি এঁকে খালি নমস্কার করেই পার পেয়ে যান তাহলেই যথেষ্ট মনে করবেন। ব্রহ্মবিদ্যায় এঁর সমকক্ষ কেউ নেই।

মনে রাখতে হবে একটু আগেই যাজ্ঞবল্ক্য গার্গীকে মাথা খসে পড়বে বলে সাবধান করেছিলেন। সেই তিক্ততা ভুলে গুণীর সমাদর ও শ্রদ্ধায় এতটুকু ভুল হয় নি গার্গীর। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো যে জনক রাজায় সভায় কেবলমাত্র গার্গী বাচক্লবী যাজ্ঞবল্ক্যর দার্শনিক মতবাদ বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন।

আজ থেকে দুই বা তিন হাজার বছর আগের ভারতবর্ষে এক রাজার সভায় এই গভীর দর্শনের প্রশ্ন ও উত্তরগুলি উচ্চারিত হয়েছিল, সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা ও বিনয়ের সাথে। কোনো কটু কথা, কোনো আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ পায় নি এঁদের বাকভঙ্গীতে। আজকের গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষে এই পারস্পরিক শ্রদ্ধাযুক্ত প্রশ্নোত্তর যে অসম্ভব সেটা বোঝা যায় গণতন্ত্রের পীঠস্থানগুলির চাল-চলন দেখলেই।

এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে যাজ্ঞবল্ক্য ও গার্গী তাঁদের সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিলেন। বৃহদারণ্যক উপনিষদ পুরোনো উপনিষদগুলির মধ্যে একটি। যাজ্ঞবল্ক্যর দর্শন, যা ব্রহ্মবাদ ও অদ্বৈতবাদের পূর্বসূরি, পরবর্তী উপনিষদগুলিকেও প্রভাবিত করছে।

যাজ্ঞবল্ক্য যে জ্ঞানী ছিলেন, কিন্তু শুকনো জ্ঞানসর্বস্ব ঋষি ছিলেন না, তার পরিচয় আমরা আগেই পেয়েছি। তাঁর রসবোধের কথা শুনে মনে পড়ে বিগত শতাব্দীর আর এক মহাপুরুষের কথা, যিনি বলতেন, মা আমাকে রসেবসে রাখিস। যাজ্ঞবল্ক্য তাঁর সরস মনটিকে আরো একবার মেলে ধরেন, জনক রাজার সঙ্গে অন্য এক সাক্ষাতকারের সময়।

জনক বসে আছেন রাজসভায়, এমন সময় যাজ্ঞবল্ক্য এসে হাজির। জনক জিজ্ঞাসা করলেন, কি ব্যাপার ঋষিবর, কি মনে করে? পশুলাভের ইচ্ছায় না ধর্মতত্ত্ব আলোচনার জন্য। যাজ্ঞবল্ক্য সোজা সাপটা উত্তর দিলেন – উভয়মেব সম্রাট, দুটোই চাই। তারপর অনেক উপদেশ-টুপদেশ দেবার পর যখন জনক বললেন, আপনার উপদেশের জন্য আমি আপনাকে এক হাজার গরু দান করছি। যাজ্ঞবল্ক্য সৎ ব্রাহ্মণ ছিলেন, বললেন, না সম্রাট, আমার শিক্ষাদান সম্পূর্ণ হয়নি আর আমার পিতা মনে করতেন যে শিক্ষা পুরো না হলে দান নেওয়া উচিত নয়।

মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য কেবল জ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি সত্যকাম নির্লোভ পুরুষ ছিলেন, ঠিক গীতার বর্ণনার মতো – বীতরাগভয়ক্রোধ স্থিতধী মুনিরুচ্যতে (গীতা ২/৫৬)।

এবারে আর এক মহীয়সী নারীর কথায় আসি। মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য গৃহস্থ্ আশ্রম ছেড়ে যাচ্ছেন, উচ্চতর সাধনার সন্ধানে। প্রিয় শিষ্যদের চোখে জল। আশ্রমের প্রতিটি প্রাণী, প্রতিটি উদ্ভিদ, শোকে মুহ্যমান।

মহর্ষি তাঁর দুই স্ত্রী কাত্যায়নী ও মৈত্রেয়ীর মাঝে গিয়ে দাঁড়ালেন। বললেন, হে প্রিয়তমে, আমার যাবতীয় জাগতিক সম্পদ, সমস্ত গোধন, সমস্ত ধনরত্ন, আমি তোমাদের দুজনের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে যেতে চাই।

দুই স্ত্রী চোখ তুলে চাইলেন। হয়তো কাত্যায়নীর মনে এসেছিল কোনো প্রিয় সম্পদের কথা, যা তিনি মহর্ষিকে আগে বলতে পারেন নি। কিন্তু মৈত্রেয়ীর মন জাগতিক বিত্তবাসনার পরপারে যে অমৃতলোক, তার খোঁজে আকুল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, হে ঋষিবর, আমি যদি পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের অধিকারী হই, তাহলে কি আমি অমৃতের অধিকারী হব?

মহর্ষি বললেন, তা হবে না। তুমি এক জন বিত্তশালী মানুষ হয়েই জীবন কাটাবে। অমৃতত্বস্য তু নাশাস্তি বিত্তেন ইতি – বিত্তের দ্বারা অমৃতের আশা নেই।

কিন্তু যাঁর মন অমৃতের অভিলাষী, বিত্তসম্পদ তাঁর পিপাসা কি করে মেটাবে। মৈত্রেয়ী প্রশ্ন করলেন, যেনাহং নামৃতা স্যাং কিমহং তেন কুর্যাহং? যার দ্বারা অমৃতত্ত্বের কোনো আশা নেই, সেই সম্পদের আমার কি প্রয়োজন?

হাজার হাজার বছর আগের এক ঋষিপত্নীর প্রশ্ন আজও মানুষের মনে অনুরণিত হয়ে চলেছে – ‘বিধাতা কি বাসনা মোর অমৃতের তরে’। কেমন সেই জগত, যা সমস্ত চাওয়া-পাওয়ার পরপারে, কিন্তু সে নিজেই পূর্ণ। যেখানে পৌঁছোতে পারলে, হয়তো এক জীবনে নয়, বহু জনমের সাধনায়, সমস্ত প্রাপ্তির সেরা ও শেষ প্রাপ্তি।

যাজ্ঞবল্ক্যর মন এই প্রশ্ন শুনে আনন্দে ভরে উঠল। তিনি বললেন, প্রিয়া বৈ খলু নো ভবতী সতী প্রিয়ম অবৃধৎ – হে প্রিয়তমে, তুমি আমার প্রিয় ছিলে এখন আরো প্রিয় হলে। যাজ্ঞবল্ক্য আত্মা ও আত্মার আশ্রয় পরমাত্মার বিষয়ে অনেক উপদেশ দান করলেন ও শেষে বললেন, স এষঃ নেতি নেতি আত্মা – এই আত্মা ইহা নয়, ইহা নয়। এই ‘নেতি নেতি’ আমরা সকল অদ্বৈতবাদীর মুখে চিরকাল প্রতিধ্বনিত হতে দেখি, যার মূলে আছে ঋষিপত্নী মৈত্রেয়ীর সেই অমোঘ প্রশ্ন ‘যেনাহং নামৃতা স্যাং কিমহং তেন কুর্যাহং?’

যাজ্ঞবল্ক্য, গার্গী ও মৈত্রেয়ী – এই চরিত্রগুলি হয়তো ইতিহাসের পাতায় ধূসর ছবি। আমাদের আধুনিক জীবনে চরিত্রের ভিড়ে ঠাসা স্মৃতির কোষগুলিতে এঁদের কোনো স্থান নেই। হয়তো এঁরা অপাংক্তেয় হয়েই বাইরে অপেক্ষা করেন, কখন কে পড়বে এঁদের জীবনগাথা।

দিলীপ দাস-সূত্র- বৃহদারণ্যক উপনিষদ

আর পড়ুন…..